ভাষা হারিয়েছি, কি লিখবো?
শব্দরা নিথর!
আর আমি? এবং কলমও হয়েছে পাথর!
জানতো কেন এমন হলো
ঐ যে ডায়নী রাক্ষুসে সূুচি!
বিশ্বমানবতা বিরোধী গণহত্যাকারী
সহস্রাধিক মানুষের রক্ত পানেও এখনো টাটকা ওর রুচি।


ওহে বিশ্ববাসী,ওহে বাঙ্গালী জাতি---
ওহে, আমার বাংলাদেশী আমারতো ঘুম আসেনা!
সত্যি বলছি, তোরা কিভাবে ঘুমোচ্ছিস?
আমার চক্ষুদ্বয় জ্বলছে হুহু করে---
আরাকানের মানুষ পোড়া ধোঁয়ার সাথে
আমার বক্ষদ্বয় কাঁদছে আকাশ ফাঁড়া চিৎকারে।
বৃদ্ধ-যুবতী নারী শিশুর নির্মম ধর্ষণ হত্যাযঙ্গে!


আমার ভায়ের জবাইকৃত রক্তে
নাফ নদীতে আজ রক্তস্রোত বইছে,
বঙ্গোপসাগর লোহিত বর্ণে
অগণিত লাশে লাশে চর জেগে গেছে!
শুধু এখনো জাগেনি বিশ্বমানবতা!
জাগেনি জাতিসংঘ!
জাগেনি ওআইসি!
জাগেনি বির্তকিত সেই জিহাদীরাও!
জাগেনি বঙ্গ ও বাঙালী!
জাগেনি আমার সোনার বাংলাও!
জাগেনি পারমানবিকের গরমে সরগরম
লম্ফঝম্ফ করা লম্পট দেশমাথারাও!চরম ধিক্কার এদের।


মনে রেখো হে বাংলাদেশী
মনে রেখো হে সমগ্র মনুষ্যজীব,
ওদের অস্ত্র,ওদের ট্যাঙ্ক,ওদের পারমানবিক,
কখনোই হবে না মানবিক!
এখনো অন্ধ থেকে কোথায় করবে ওসবের ব্যবহার?
নিশ্চয় আরাকানের মতো কোন মহল্লায়
না হলে একটি জাতি নির্মূলে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কেন নয়?
আজ থেকে জেনে নাও
ওরা সবাই মানবতা ধ্বংসে সমান দায়ী
তবুও তোমাদের লড়তেই হবে
বারবার জেগে উঠতেই হবে,
রক্তচোষা সূচিদের করতে ধরাশায়ী।


রচনাকাল: ০৮।০৯।২০১৭ ইং