ঝরছে বিষাদ হৃদয়-পরতে দুঃখ-জোয়ার তুলে,
পনের আগষ্ট ফিরে এসেছে বাঙালি চেতন মূলে।
দুঃখ গাঁথার বাঁশুরী বাজছে হৃদয়ের তলে আজ,
দূর-পরবাসে এখনো কাঁদছে বাঙালি-রাখাল রাজ।

পরাজিত সেনা কূট কৌশলে আঘাত হানলো তাঁরে-
শ্রেষ্ঠ কবিতা রচেছে যে কবি বাঙালির অন্তরে।
বাংলাদেশের রূপকার ঐ বাঙালি জাতির পিতা,
ঘুমায় আজিকে বাংলার গাঁয়ে মানুষের সংহিতা।

দুর্বৃত্তরা এতোই নিঠুর দয়া-মায়া-হীন পশু!
কি পাষানে তারা করলো নিধন দশ বছরের শিশু?
রাসেলের প্রাণ ডুকরিয়া কাঁদে জননীর কোলে, হায়!
রক্তের ধারা বহিয়া চলছে এখনো এ বাংলায়।

জেগে উঠো ফের প্রেমিক বাঙালি পশু হত্যায় আজ,
পুরোনা পশুরা জেগেছে আবার উল্টাতে এ সমাজ।
হৃদি-আন্দোলিত-মহানায়ক চেয়ে আছে দেখো, ওরে!
তাঁহার বিমল চেতনার ধারা তুলে আনো অন্তরে।

বাঙালি-কন্ঠে বাজছে আজিকে বিষাদ-ফল্গুধারা,
অন্তর-ভেদি শোকের মাতম- সংহূতি অন্তরা।
অবিরাম শোকেরই নাম-
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৫/০৮/২০১৩
মিরপুর, ঢাকা।

(অনুচিত কর্মটা করতে বাধ্য হলেম,
কবি অরুন কারফার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে।
মাফ করবে বন্ধুগণ।)

সংহূতি =  সংঘবদ্ধ মানুষের আহূতি বা আহ্বান ;
সংহূতি অন্তরা = কোরাস গান (ভাবার্থে)