মিলের পরে মিল খুঁজে যায়-
        অন্ত্যমিলের যন্ত্রণা!
কাব্যকথায় যথায় তথায়
        পায় না ছন্দ মন্ত্রণা।
ছন্দ শোনে নদীর জলে,
ছন্দ দেখে দুর্বাদলে,
আকাশতলে ছন্দ দোলে
        রাত্রি নিঝুম চন্দ্রমা;
চক্ষু বুজে যাচ্ছে খুঁজে
        ছন্দকলার মন্ত্রণা।


কাকের মতোন কা কা করে
        চায় সে কবির তকমা রে,
ঝোপ বুঝে সে কোপ মারে যে
        হালিচরে বক মারে।
থাকেন নিজের বলয়ে সে,
ছন্দ মিলায় ঝিকার কষে,
চাটুকারে বসে বসে
        হাই তোলে আর ঝাঁক মারে;
রাত্রি কালে ফেসবুকেতে
        'ফিরি-ডাটায়' 'পোক' মারে।


ফেসবুকেতে 'পেজ' খুলে সে
        হয় যে কবির ঝাণ্ডাদার,
মোড়ল সেজে রয় যে বসে
        চারপাশে রয় পাণ্ডা তার।
বাদশা আলমপনা কবি,
ইচ্ছে মতোন আঁকেন ছবি,
তার কাছেতে মধু, রবি,
        নজরুল নাকি মান্ধাতার!
ভাবছি বসে রাত্রি শেষে
        কাব্যকথার আণ্ডা কার?


অত্যাধুনিক কাব্য গড়ে
          ছন্দদোলা নেই তাতে,
দীঘল পথে পাড়ি জমায়
          শুরু করে ভোররাতে।
ছন্দ আছে নদীর জলে,
ছন্দ আছে ঝর্ণাতলে,
ছন্দ দোলে পলে পলে
          বিটবির ঐ ডাল-পাতে;
অত্যাধুনিক কাব্য গড়ে
          ছন্দদোলা নেই তাতে।


শব্দ দিয়ে জব্দ করে
          কাব্যকথার পাঠককে,
জটিল করে কূটিলতায়
          প্রহসনের নাটককে।
বোধগম্যতার উর্ধ্বেতে তাই
উড়ায়ে যায় শব্দেরই ছাই,
মাথামুণ্ডুর অর্থ যে নাই,
          কাব্যকলা আটক যে;
শব্দ দিয়ে জব্দ করে
          কাব্যকথার পাঠককে।


ছন্দছাড়া কাব্য করা
          তালহারা এক গান রে,
বিয়েবাড়ি খাওয়ার শেষে
          চুন ছাড়া এক পান রে।
ঢেউ ছাড়া এক নদীর মত
বয়ে চলা অবিরত,
অদ্ভুতর শব্দ যত
          খুঁজতে পেরেশান রে;
ছন্দছাড়া কাব্য করা
          তালহারা এক গান রে।


১৯ জ্যৈষ্ঠ,১৪২৪
০২/০৬/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।