.       খুঁজেছি তোমারে ভুবন মাঝে
        শত আরাধনে সকাল-সাঁঝে,
পেরেশান হয়ে হতাশ মননে একাকী রয়েছি পড়ে
ধরণীর বুকে, নিষ্ফল ভেবে রুদ্ধদ্বারের ঘরে।
        নিরাশা বেঁধেছে বাসা-
তখন  সহসা বাজিলো মনে,
ওরে, ভুল পথে তুই ঘুরেছিস শুধু বিফল অন্বেষণে।


খুঁজে গেছি আমি বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ে-সাগরে, মরুর দেশে;
সাধুর চরণে, পীরের বয়ানে কেঁদে গেছি শুধু পাগলবেশে।
        পাইনি তোমারে কোনখানে খুঁজে,
        তবুও, দেখিনি দু'নয়ন বুজে
মনের ভেতরে তোমার বসতি অরূপ আলোর ছায়া।
আমার এ দেহ তোমার স্বরূপ, তোমারি অমল কায়া।
তখন, ঝলমল করে উঠলে জ্বলে,
        আকাশে-বাতাসে, ফুলে ও ফলে;
শুনি,  অঝোর ধারার বৃষ্টির পানি
        তোমার নামেই করে কানাকানি,
সয়লাব হয়ে সব ভেসে যায়- সঞ্চিত ভয় মনের যত।
        ঝড়ের আঘাতে ভেঙে গেলো সব,
        স্তব্ধ হৃদয়ে উঠে কলরব;
অমানিশা শেষে চন্দ্রিমা হাসে, দুখের নিশাস হয় নিহত।


আমি পেয়েছি তোমারে তরু-লতাতে,
আমি তোমাকে দেখেছি চাঁদনী রাতে;
প্রকৃতির মাঝে একাকার হয়ে অরূপ রূপেতে রহো,
অপরূপ সাজে গভীর স্বননে অমৃতের কথা কহো।
        নদীর জলের প্লাবনের সাথে
        সাগরের বুকে জাগো সংঘাতে;
দু'হাতে জড়ায়ে পলিমাটি লয়ে ছুটে এসো ভাটিদেশে।
        পলির পরশে ফসলের ক্ষেতে,
        যৌবন জাগে উৎসবে মেতে;
পোয়াতি ধানের সোনারূপ দেখে কৃষকেরা উঠে হেসে।
এতো কাছে তুমি, এতো ভালোবাসো, এতো যে আপনজন!
বুঝিনিতো আগে শুধুই ঘুরেছি, আমি এক দুর্জন।


সব শেষে বুঝে গেছি, তুমি রহো কাছে কাছে,
দূরেতে রহো না কভু, তুমি রহো পাছে পাছে।
        তবুও, অবোধ আমি!
        করে যাই ধার্ষ্টামি;
মোহের জগতে ঘুরি স্বার্থ-সিদ্ধি তরে,
খুঁজি না তোমায়, প্রভু! দেহাতীত অন্তরে।


১০/০৫/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।