আগুনের তেজ তুমি কি দেখেছো?
দেখেছো কি তার ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির উল্লাস?
পুড়ে পুড়ে সব ছারখার হয়!
ধ্বংসলীলায় ছাই হয়ে যায়
কালো হয়ে যায় আকাশ আর বাতাস।
পোড়ে কল-কারখানা, বাড়িঘর, হাট ও বাজার;
পোড়ে মন্দির, পোড়ে মসজিদ, গীর্জা, মাজার।
পুড়ে পুড়ে সব হয় ছারখার।
যতো তেজ আছে মানুষ মারণে
গুলিতে, বোমাতে, শেলে, রাইফেলে,
বন্দুক ও বারুদে;
সকলকিছুর মূলে আগুনের খেলা!
সবকিছুতেই আগুনের কারবার।
তাহলে কি, ধ্বংসের প্রতীকই আগুনের শিখা?


বিরহ যন্ত্রনার চাপ আগুনের মতো জ্বলে,
বুক ফেটে যায়, চৌচির হয়,
ক্রমে বাড়ে অনুতাপ।
চরম দুঃখে জাহান্নামের আগুনের ছবি দেখি,
জতুগৃহে জ্বলে দাবানল দাহ।
কিন্তু আগুনেই সৃষ্টি হয়েছে সভ্যতার সোপান।
ভালো ও মন্দ স্বর্ণের নিরুপণে আগুণের অবদান।
রসনা বিলাসে আগুনের প্রয়োজন,
ময়লা, কদর্যতা পোড়াতে আগুন।
সৃষ্টির মূলে আগুনের খেলা চলছে নিরন্তর।
বুকের ভেতরে আগুন জ্বলে ফাগুনের দাবানল!
আগুন আবার অন্ধকারকে করে তোলে উজ্জ্বল।
ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির লেখা আগুনের কারসাজি,
সৃষ্টিকে ফের ধ্বংস করতে আগুনই হয় রাজি।


হে যুবক, আগুনের তেজদীপ্ততা নিয়ে
বেড়ে উঠো আমাদের পৃথিবীতে;
ধ্বংসের পর সৃষ্টি করতে সাবলীল, সুন্দর যতো।
মানুষ মঙ্গলের তরে তোমার ভাবনা কি রয়েছে চিতে?
আগুন স্রষ্ট্রা, আগুন ধ্বংস, আগুন জীবনমান!
আগুনের মাঝে জেগে উঠবেই জীবনের জয়গান।


২২/০৪/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।