ঝরে গেলে ফুলের মুকুল তাতে কি আর ফল ধরে?
আমি যে তোর ফুল-মঞ্জুরি ফুটে আছি বন-ভরে।
            অনন্তকাল বন্ধু প্রিয়!
            আমার প্রাণের প্রাণ আত্মীয়;
অশ্রুজলের বাদল ঝরে অঝোর ধারায় তোর তরে।


মদের নেশায় মাতাল হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি পানশালায়,
ভাঙ্গে না ঘুম ইমানদারির সুর ও স্বরের ঝড়-হাওয়ায়।
            রূপ-লাবনীর কথা ভুলি',
            অন্ধকারে ছুটে চলি;
রহস্যময় স্বর্গীয় দূত আসার আগে এই ধরায় ।


অতল আঁধার চারিদিকে দেখি না ফুল-ঠোঁট বাহার,
চিরতরে যাই হারিয়ে চারিদিকে অন্ধকার।
            সময় কাটে অবিশ্বাসে,
            কৌতূহলের দীর্ঘশ্বাসে;
দয়া করে, দান কর্ তুই অমৃত কূপ প্রাণসুধার।


ঝাপসা চোখে যাচ্ছি খুঁজে তোল্ রে এবার হাত ধরে,
অহংকারের চাদর গায়ে ধরণীতে রই পড়ে।
            শ্রান্ত হৃদয় শান্তি মাগে,
            থাকতে যে চায় অনুরাগে;
অরূপ অমল রূপের জ্যোতির আলো জ্বালাইস গোর-ঘরে।


ব্যথার সমব্যথী যে তুই, আমি অধম বে-খবর,
অজ্ঞানতার তিমির তলে ছুটছি শুধুই নিরন্তর।
            নিত্য কাঁদি রাত্রি শেষে,
            হে প্রিয়তি! ত্রাতার বেশে
শোনাও কূহক-কর্ণে আমার আবে-কাউসার জলের স্বর।


১৯/০৩/২০২৪
ঢাকা।