ওরে কবীর! হইসনা অধীর
          পানশালার এই রঙ্গখেলায়,
ব্যাথার কাটা ফুটিয়ে বুকে
          মজলি রে তুই রূপের মেলায়।
      নিভে গেলে জীবন-প্রদীপ,
      তলিয়ে যাবে শষ্পিত দ্বীপ;
তুই যে তখন ভেসে যাবি
          সুদূরপারের মরণ ভেলায়।
ওই প্রিয়তি দয়াবতী
          হাত বাড়িয়ে আসে যদি,
পার হবি তুই ঝঞ্ঝাটহীন
          তরঙ্গিত উথাল নদী।
      সেই রূপসীর নামের মালা
      কর্ রে এবার জপমালা;
বল, প্রিয়তি দয়াবতী!
          তসবি গুণে নিরবধি।


আমি শুধুই নাম শুনেছি
          দেখিনি তোর রূপের বাহার;
আমার সৃষ্টি তুই প্রিয়তি,
          এইতো অহম-অহংকার!
      আমি আছি তুইও আছিস,
      আমার মাঝে তুইতো বাঁচিস;
দূরে ঠেলে দিস না রে তুই
          ভেবে আমায় দুরাচার।
হে প্রিয়তি, জ্যোতির্মতি!
          তুই যে আমার নিশানার তীর,
পেতে তোরে আপন করে
          জগৎ মাঝে হই যে অধীর।
      তোর প্রেমেতে আজ বিবাগী,
      ছন্নছাড়া গৃহত্যাগী;
পানশালার এই ছলের মায়ায়
          নিত্যদিনই কান্দে কবীর।


২৮/০২/২০২৪
ঢাকা।