আমি যারে ভালোবাসি, তার মাথায় কি ছিট আছে!
নিকটে ডাকলে তারে, দূরে যায়;
            ঠেলে দিলে, ফিরে আসে কাছে।
অদ্ভুত চরিত্র তার, বুঝতে পারি না কিছু আমি;
ভেবে ভেবে হই সারা সারাক্ষণ;
            শুধু ভেবে যাই দিবা-যামী।
ছিটওয়ালি ভালোবাসা, তবুও যে কাড়িছে হৃদয়।
শয়নে স্বপনে এসে, চুপি চুপি
            রঙ্গরসে শত কথা কয়।
এ এক যন্ত্রণা হায়! ভুলিতে পারি না কেন তারে?
ভূতের মতোন থাকে শুয়ে-বসে
            এই নিস্তেজ দুর্বল ঘাড়ে।
সকালে সূর্যের মতো উজ্জ্বল রঙের এক ধারা;
বিকেলে গোমড়ামুখি, গৃহহীন,
            আলুথালু; যেন ছন্নছাড়া।
যতো বলি, 'ভালবাসি'; বোঝে নাতো তার কোন কিছু;
কাঁঠালকে বলে, আহা, কী সুন্দর,
            মস্ত বিরাট সুস্বাদু লিচু!
কি করি ভেবে না পাই, তাই, অন্ধকারে ছবি আঁকি।
একা একা শুয়ে শুয়ে অবিরাম
            তাঁর শরীরের গন্ধ শুঁকি।
তেজদীপ্ত মানবীর কোমল বুকের মধু-গন্ধ;
স্বর্গ থেকে নেমে এসে দিয়ে যায়
            রিক্ত চিত্তে প্রচুর আনন্দ।
চুল তার আঁধারের সীমাহীন অপরূপ রূপ!
সেইখানে নাক গুঁজে গন্ধ শুঁকি;
            অতঃপর, একেবারে চুপ।
এমন প্রেমিকা আর দ্বিতীয়টি পৃথিবীতে নাই।
তাই, আমি অহরহ প্রতিদিন
            এখানে সেখানে খুঁজে যাই।
সেই নামখানি ধরে হয়রান হয়ে তারে ডাকি;
আদরে-সোহাগে-প্রেমে, অতি যত্নে
            বুকের ভেতরে ধরে রাখি।


০১/১২/২০২৩
গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ।