অনন্তের পারাবারে বিচ্ছিন্ন স্বপ্নের স্বাক্ষী হয়ে
কোন্ দূরলোক থেকে নেমে এলে তুমি অকস্মাৎ
মানুষের রূপ ধরে মৃত্তিকার ধামে, হে প্রিয়তি?
আমার নিরবতায় সমর্পিত প্রার্থনা-সঙ্গীত
হয়ে, অদ্ভুত প্রশান্তি আনো ক্ষুব্ধ, বিক্ষিপ্ত হৃদয়ে।
দাউ দাউ জ্বলে ওঠা অবিশ্রান্ত লেলিহান শিখা
আশ্চর্যজনকভাবে নির্বাপিত, শান্ত হয়ে যায়।
অনিবার্য স্মরণীয় ত্যাগের আকাঙ্খা তুলে ধরো
জগত-সংসার মাঝে; চমৎকার ঝিলিমিলি আলো
বিকশিত হয় দূর দিগন্তের শ্যামল রেখায়।
তখন স্বর্গরাজ্যের আলোক-বর্তিকা জ্বলে ওঠে
আবলুস অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষের প্রান্তিকে।
ঘৃণ্য, বিপদ-জনক, কুরুচির আশ্চর্য লালসা
খেলা করে যায় মনে, শরীরের রক্তের কণায়।
বৃষ্টিতে রংধনু ভিজে যুক্তিহীন চঞ্চল মননে;
আমি কেঁপে উঠি ভয়ে নৈরাজ্যের বিস্মৃত শহরে।
অনুমানযোগ্য কোন ধর্মতন্ত্রে সুদৃঢ় দাঁড়াই,
স্পষ্টভাষী বিচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই।


১৮/১১/২০২৩
ঢাকা।