পৃথিবীর গৃহহীন মানুষেরা কখনোই পূর্ণিমার জ্যোৎস্না বিমুখ হয় না। অবসন্ন ক্লান্ত হলেও কখনো গৃহকোণে বন্দী হয়ে রয় না। জোছনার ছোঁয়া পেতে স্নেহাতুর মানুষের কাছে বারবার ফিরে যায়। গভীর আলিঙ্গনের উষ্ণতায় সযতনে ধরে তাকে; চাতক পাখির মতো বৃষ্টিজলের পরশ পেতে চায়। আমিও কি সে রকম হয়ে গেছি, গৃহহীন মানুষের মতো? একটু সুখ, ক্ষাণিক আদর পেতে ছুটে চলি অবিরাম, অবিরত।


গহীন অন্ধকারের চাঁদ তুমি, বন্ধুর পথের সাহসী শক্তি সঞ্চারী! গোধূলী বিকেলে এসে বাহুডোরে বেঁধে মুহূর্তে করেছো আপ্লুত। ভুলিতে কি পারি? বিস্তৃত আকাশ জুড়ে বসন্তের শিশিরের মতো ভালোবাসা গলে যায়; অভিনয়হীন নির্জলা প্রেমের অমিত ছোঁয়ায়।


জীবনের পাশাখেলা হেরে, পাণ্ডবের যুধিষ্ঠির হারিয়েছে সব; শকুনীর চাতুরিতে দুর্যোধন করে যায় বিজয়ের উৎসব। আমিওতো হারিয়েছি পোয়াতি ধানের ভূমি; বটবৃক্ষ, বহমান নদীর জলধারা, বিমূর্ত বিকেল; সবকিছু এনে দিলে নবরূপে তুমি। জীর্ণ জীবনের পথে বিলাসী জোছনা ছড়ালে আবার; গোপন নিলামে বিক্রি হওয়া নির্জীব হৃদয়ে করেছো বিপুল শক্তির সঞ্চার।


২৬/০৯/২০২৩
ঢাকা।