কবির কথা শোনবে না কেউ, জানি;
বলছি তবু, বন্ধ করো যুদ্ধের হানাহানি।
মানুষ হত্যা পৃথিবীতে গর্হিত এক কাজ,
মারলে মানুষ ধ্বংস হবে মানুষের সমাজ।
এই পৃথিবী ধ্বংস করার অনেক অস্ত্র আছে-
ইউরোপ, চীন, আমেরিকা, রাশিয়াদের কাছে।
আরও আছে এই এশিয়ার ভারত, পাকিস্তানে;
সবাই মিলে পৃথিবীকে করতে পারে শ্মশান-গোরস্থানে।


মানবতার মুখোশ পড়ে যে সব ভণ্ডে মায়া-কাঁদন করে,
তারা আজকে কোথায় আছে? কোন মাটির ভূধরে?
ফিলিস্তিনির রক্তে ভিজে গাজা, পশ্চিম তীর।
আজকে কোথায় লুকালো সেই মানবতার বীর(!)?
'মানুষ বাঁচাও' কথার কথায় ফেনা তোলে যারা,
মানুষ হত্যার ধ্বংসযজ্ঞে মত্ত আজি তারা।
জন্মস্থান, জন্মভূমি ছেড়ে যাবার আদেশ-
নৈতিকতার, মানবতার চরম লঙ্ঘন বিশেষ।
শিশু-নারী, অসামরিক মানুষ হত্যা করা,
যুদ্ধাপরাধ বিশ্ব-আইনে লেখা আছে ধারা।


ওসব বাণী তুচ্ছ করে শয়তানেরা সব,
নির্বিচারে মারছে মানুষ, তারাই করে হত্যারই উৎসব।
তারাই যে আজ মানব-পশু বজ্জাতির সন্তান,
মানব জাতির নামে তারা করছে অপমান।
মানুষরূপী দানবেরা ধ্বংসে মাতে পৃথিবী তাবৎ,
লণ্ড-ভণ্ড হবে সবই, তার নামই কেয়ামত!
মানুষ হত্যার কষ্ট যখন বাজে না আর বুকে;
হত্যাকারী পৃথিবীতে কিভাবে রয় সুখে?
বিবেক যখন হারিয়ে যায় ধ্বংস করে সবই,
শাশ্বত ও সত্যবাণী বলে যায় এই কবি।


২০/১০/২০২৩
ঢাকা।