সঙ্গী যখন একতারা হয়, তখন সুখের পঙ্খি ডাকে;
তপ্ত দুপুর, শীতল বাতাস, দীঘল গাছের পাতার ফাঁকে।
শ্রান্ত শরীর আরামবোধের ক্লান্তিনাশক কল্পনাতে
লক্ষ্যবিহীন দূর-যাত্রার পথ খুঁজে পায়। গহীন রাতে
ঘর ছেড়ে যায়, মনটি হারায় একতারাটির একটি তারে;
গান গেয়ে যায়- সুখের বিলাপ, চাঁদনী রাতের নদীর পাড়ে।
ঝোপের আড়াল জোনাক পোকার লক্ষ আলোর প্রদীপ জ্বলে;
ভ্রুক্ষেপ নেই, থই থই থই চাঁদের আলোক যাক না গলে।
রাতদুপুরের বৃষ্টিধারায় সুর তুলে যায় বাউলা মন,
একতারা তাঁর সাধন-সঙ্গী নিত্যই করে অনুরণন।
তুমিই আমার একতারা সই, মোক্ষ লাভের প্রণয় গান,
সুরের ছোঁয়ায় কাঁপছে ভুবন দোলায় আমার ক্লান্ত প্রাণ।
পিরিত-প্রণয় খুব জ্বালাময়, অগ্নি-স্বরূপ পোড়ায় সব,
তবুও, মানুষ যুগান্তরের পিরিত নেশায় হয় নীরব।
পিরিত আমায় ফকির বানায়, করেছে তোমায় জগত-রানী,
চরণে তোমার আল্পনা আঁকি বুকের রক্তে, হেঁই ভবানী।


২৯/১০/২০২৩
ঢাকা।