মেয়ের শরীর জুড়ে জলবতী নদী
নিরবধি বয়ে যায়, বাঁকে বাঁকে ঢেউ;
কেউতো দেখে না তারে আদরে সোহাগে;
শুধু মাগে স্পর্শ তার রাতের গভীরে।

মেয়ের শরীর জুড়ে ফলন্ত আগুন
ফাগুন বাতাসে বহে দুরন্ত উত্তাপে;
মনের সন্তাপে বাড়ে কামনার শিখা,
অহমিকা বেড়ে যায় প্রবল সংঘাতে।

মেয়ের শরীর জুড়ে ফুলের সৌরভ!
কৌরব আর পাণ্ডুরা কুরুক্ষেত্র রচে;
কে জানে গঙ্গাপুত্রের মনের বেদনা,
সান্তনা কে দেবে তারে স্বেচ্ছামৃত্যু কালে?

মেয়ের শরীর জুড়ে অবারিত মাঠ,
ধান-পাট বুনে যায় সফল কৃষক;
লকলকে বেড়ে উঠা ফসলের রাশি,
হাসি-খুশি মুখ নিয়ে চেয়ে থাকে তারা।

মেয়ের শরীর জুড়ে নিঝুম বনানী
কানাকানি করে, নীল বৃক্ষের সম্ভার;
অঙ্গ তার ছিঁড়ে খায় পশুদের মতো
অবিরত কেঁদে যায় পরাস্ত মানবী।

মেয়ের শরীর জুড়ে আলোর পাহাড়
খাদিজার বুকে জ্বলা তীব্র প্রেমরাশি;
বাঁশি বাজায় প্রেমিক অনন্ত বিশ্বাসে,
নিশ্বাসে কামনা করে মেনকা-রম্ভার।

মেয়ের শরীর জুড়ে অনন্ত সাগর
সরোবর হয়ে যায় কৈলাস নগরে;
থরথর কেঁপে উঠে পরশন পেলে
হেসে-খেলে চলে যায় অনন্তের পারে।

মেয়ের শরীর জুড়ে অনন্য অস্থির
পৃথিবীর রূপছায়া দোল খেয়ে যায়;
হায়, পুরুষেরা যাচে নিত্য পরিচর্যা,
রূপসজ্জা, নিরন্তর বিনোদিনী রূপে।

০৯/০৮/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।