জ্যোৎস্না-আলো চাই কুড়াতে শরৎ মেঘের ফাঁক থেকে,
ঘাসফুল আর ভোরের শিশির ডাক দিয়েছে, রুখবে কে?
মায়ার শহর-বাঁধন ছিঁড়ে, যাবোই চলে সেই গাঁয়ে,
জলবতী নদী যেথায় আয়েশ করে বট-ছায়ে।
বৃষ্টি যেথায় ভালোবাসায় বলছে কথা রাত-বেলায়,
ঘুমের শেষে ভোর-প্রভাতে পাখ-পাখালি হাত মেলায়।
মায়াবতী গ্রামে যাবোই জ্যোৎস্না কুড়ানোর সুখে,
জ্যোৎস্নাবিহীন জীবন-যাপন চায় বলো কোন্ উজবুকে?
আমার গাঁয়ের চৈতালী বায় বরফগলা নদী হয়,
চাঁদনী রাতে বৃক্ষ-নদী পরস্পরে কথা কয়।
স্বর্গের ফুল গন্ধ ছড়ায় সেই গ্রামের সব মাঠ জুড়ে,
কাশের বনে ফুল্ল মনে মেঘের মেয়ে যায় উড়ে।
উতল বাতাস ডাক দিয়ে কয়,'আয় চলে আয়, আজ রাতে',
জ্যোৎস্না কুড়ানোর নেশাতে যাচ্ছি আমি সে-ই গাঁ-তে।
নদীর পাড়ের পূর্ণিমা রাত দেখতে যাবি, কে কে বল্?
গণ্ডিবাধা জীবন-যাপন সব ছেড়ে ঐ গাঁয়ে চল্।
মায়ের মতোন দরদিনী গাঁয়ের মাটি-ফুল-বাতাস,
আদর করে দেয় মুছিয়ে এই জীবনের দীর্ঘশ্বাস।


১০/০৩/২০২৩
মিরপুর, ঢাকা।