ছুটি শেষে যে নাবিক গৃহত্যাগ করে,
ফিরে চলে পোতাশ্রয়ে নোঙর করা
তার জাহাজ পানে, জিজ্ঞেস করোনা
তাকে কখনো তার গন্তব্যের কথা।


তার মনে গেঁথে থাকে ফেলে আসা
সব প্রিয়জনের কান্নাভেজা মুখ, আর
বাংলার শ্যামল প্রান্তরে রেখে যাওয়া
তার পদচিহ্নের মৃন্ময় সজীব স্মৃতি।


অচিরেই সেসব স্মৃতিগুলো মিশে যাবে
সাগরের নীল জলে, রয়ে যাবে শুধুই
ভালোবাসার এলোমেলো ব্যক্ত অব্যক্ত
কিছ কথামালা আর ধূসর কিছু কল্পনা।


দ্রুতপদে সে গ্যাংওয়ে পার হয়ে যায়,
অপসৃয়মান আবাসে তার ঠাঁই খুঁজে নেয়।
চঞ্চল মনে এপাশ ওপাশ ঘুরেফিরে দেখে,
ফিরে আসে অবশেষে রেলিঙের ধারে।


চোখ মেলে সে দেখে সাগরের সফেন ঢেউ,
পেছনে পড়ে থাকে স্মৃতিময় কথকতা ধূসর।
আনমনে চলা নাবিকের মনের নোঙরখানি
বাঁধা আছে কোন সাগর শয্যায়, সেই জানে!


পাদটীকাঃ কবি স্বপ্না বন্দোপাধ্যায় এর কথা ধার করেই বলছি, ছুটি শেষ হওয়া নাবিকের মনে থাকে বিদায় ব্যথার চোরাস্রোত। একরাশ বেদনার অনুভূতি আর কিছু প্রাপ্তিরও রেশ তার মনকে উদ্বেল করে তোলে। সামনে বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র, পেছনে ফেলে আসা মধুময় স্মৃতি। অতি সংযমে সে মনের আবেগকে ধরে রাখে।



ঢাকা
১৫ এপ্রিল ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।