আমার কবিতার কথা কি বলবো! সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে, এক ঘোরের ভেতর অকবির বাস। কবিতার ভেতর কবিতা ছাড়া সবকিছুই আছে! হাহাহাহা! অভিজ্ঞতা, একটা কুনোব্যাঙের চাইতেও কম। তবু বইমেলা আসলেই অন্ধের মতো ভাবি, রিমরিম কাগজে এসব মুদ্রিত হবে, বিক্রি হবে বটতলার বাজারে। দৈনিক পত্রিকাগুলোও তারকা বানিয়ে বেঁচবে আমাকেই! আমাকে দিয়েই হবে তাদের একধরনের পত্রিকা কাটতি। আর এই প্রাণীটি (অকবি আমি) কবি হবার আশায় সবকিছু জলাঞ্জলি দিতে পারে, আত্মা পর্যন্ত।


আদর্শহীনতাই এখানে আদর্শে পরিণত হয়েছে! আদর্শ বলতে এখানে কোনো দার্শনিক বা ধর্মীয় চিন্তাধারাকে বুঝানো হচ্ছে না। সাহিত্যের একটা নিজস্ব আদর্শবোধ আছে। যা জগতের তাবত মতবাদের উর্ধ্বে ও তাবত মতবাদের চাইতে সত্য। কারণ সত্য উচ্চারণ ছাড়া সাহিত্যের আর কোনো কাজ নাই। সাহিত্যের আদর্শ জগতের শ্রেষ্ঠ আদর্শ। একজন সৎ সাহিত্যিক অপরিনামদর্শী। যে কারণে ভালো ভালো পেশা (ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিং, অধ্যাপনা) ছেড়ে অনেকেই লিখতে আসে। যে কোনো ধর্মগুরুর চাইতেও তিনি মহৎ! আরেব্বাহ!


এ বড় আজব দেশ। গ্রামদেশ থেকে কবিতা লিখতে আসা একটা ছেলে চক্রে পড়ে পরিণত হবে হাস্যকর ভাঁড়ে! এসব হতে চেয়েছিলাম আমিই, দৈনিক পত্রিকাগুলোর সাহিত্য পাতার প্রেরণায়। কিছুদিন খুব স্বপ্ন দেখেছি দৈনিক পত্রিকাগুলোর সাহিত্য পাতায় চোখ রেখে। সন্দেহ নাই একসময় ভাল কয়েকটা কবিতা লেখার চেষ্টাও করেছি। কিন্তু এখন ভীমরতি হয়েছে। অচিরেই একটা কবিতার বই মুদ্রণ যন্ত্রে পিষে দেওয়ার ভীমরতি। কবিতা গভীরভাবে অনুভব করবার সময় হয়েছে বলেই মনে হয় না, তবুও। তবে সন্দেহ নেই, এ সাহিত্যকেই (বিশেষত কবিতা) আঁকড়ে ধরেছি । যার কারণে প্রচুর যাতনার জীবন বেছে নিয়েছি। দেখা যাক ! তবে সুযোগ পেলে সাহিত্য দিয়ে বুকের জমিনে ফসল ফলাবো। এইরকম একটা মহৎ ইচ্ছেই প্রতি নিয়ত কষ্ট করতে বাধ্য করে।।