মাছের দেশের গল্প বলি, শোন আজ মিনা,
কিনারায় সাঁতার কাটে ছোট্ট দাড়কিনা।
সারাদিন মুখ খোলে হা-করে চোয়াল
ছোটমাছ খায় সেই রাঘব বোয়াল।
দেহ থেকে কাঁটা ফেলে যা থাকে বাকি,
মুখরোচক ভর্তা হয় সেই মাছ টাকি।
জলের পোকা চিংড়ি, কথা নয় মিছা,
কথায় বলে লোকে, এই মাছ ইছা।
ছোট যারা তোমরা, চেন সব মাছ কি?
স্বাদের পাতুরি হয়, দিয়ে ছোট কাচকি।
আরেকটা ছোটমাছ বলি এই বেলা,
সাদা রঙের দেখতে এই মাছ চেলা।
ভিটামিন ‘এ’ পেতে খেতে হয় মলা,
টেংরার গোঁফ আছে, যায় না তো বলা।
খেতে খুব স্বাদ লাগে বাতাসির ভুনা,
পাবদাকে মনে হয় বোয়ালের পোনা।
বড় চোখে তাকিয়ে রয় ছোটমাছ বেলে,
দেহের জোর বেড়ে যায় কইমাছ খেলে।
মৃগেল, রুইয়ের মত ভুঁড়িওয়ালা পাঙ্গাশ,
গণিমাছ সেইসাথে সারাদেশে হয় চাষ।
বড়মাছের নাম নিলে আসে আরো দুই,
সবাই চেনে তাদের কাতলা আর রুই।
মাছটায় বাস করে জল যেথা অতল,
ছোট আঁশ, ছোট মুখ, কাটা ভরা চিতল।
পাখনায় বিষ থাকে, শিংমাছ নাম তার,
রোগীদের ভাল পথ্য, বলে দেয় ডাক্তার।
চিতলের শিশুকাল যদি তারে বলি,
দেখতে একইরকম, ডাকে যারে ফলি।
দুইপাশ চাপা তার কাগজের মত হয় চাঁদা,
আকারে বড় মুখ, কালচে সবুজ রঙ ভেদা।
মাগুরমাছ কাদায় থাকে, না থাকুক পানি,
সারাদেহে উল্কি আঁকা, সুন্দরী মাছ রানী।
নলাকার দেহ, লম্বা ঠোঁটের মাছ কাকিলা,
দুইপাশে চাপা শরীর, নাম তার চাপিলা।
রুইমাছ কালো হলে, বলি তারে কালিয়া,
মুখেতে বাচ্চা ফোটায় আজব তেলাপিয়া।
ইচ্ছে হলে, পেট ফুলে, হয়ে যায় মটকা,
লোকে বলে এ মাছের নাম নাকি পটকা।
রুচিকর তরকারি গোগ্রাসে গিলিস,
সরষে বাটায় রান্না পদ্মার ইলিশ।