আজব দেশের বলছি কথা
আজব তার মানুষ,
মাইনে পেয়েও তুষ্ট নয়
দিব্যি খায় ঘুষ।
দেশের টাকা চুরি করে
বিদেশেতে পাচার,
মানবতার নেইকো লেশ
হিংস্র পশুর আচার।
পাহাড় নদী দখল করে
বানায় ঘরবাড়ি,
ছনের ঘর রেখে গাঁয়ে
হাঁকায় দামী গাড়ি।
আছে বা নেই বংশপ্রদীপ
বড়লোকের ঘরে,
জনসংখ্যার চাপে গরিব
না খেয়ে মরে।
বাহিরেতে নারী এখন
পুরুষ রান্নাঘরে,
নারীর সময় বয়ে যায়
বসে সাজঘরে।
আইনের ধারা বানায় যারা
তারাই ভাঙে আইন,
সাধারণে না মানে যদি
দিতে হয় ফাইন।
টিভি শো'তে প্যাঁচাল পারে
অজ্ঞ মূর্খ লোক,
জ্ঞানীলোকে দেখে সেটা
বেজায় করে মুখ।
যে ঘরে বিড়ালের বাস
একই সাথে ইঁদুর,
সংকোচেতে দেয় না বঁধু
সিঁথিপাটে সিঁদুর।
বাড়িয়ে দেয় কুকুরে গাল
শেয়ালে তা চাটে,
সেলফোনে ব্যস্ত কিশোর
খেলতে যায়না মাঠে।
পুকুর জলে চাষ হয়
পাবদা-ইলিশ-কই,
খাদ্য যোগায় দেশের চাষি
নিজের খাবার কই?
অখাদ্যই খাদ্য এখন
জোরে পাকে ফল,
অপুষ্টিতে ভোগী আমরা
হারাই দেহের বল।
মেয়ের পোশাক গায়ে দিয়ে
চলে হেলেদুলে,
ঝুঁটি বাঁধে ছেলের দল
দীঘলকালো চুলে।
রাতে এরা জেগে কাটায়
ঘুমে দিনের বেলা,
ফেসবুকেই সময় কাটে
পড়ায় অবহেলা।
খুনিরা থাকে লোকালয়ে
সজ্জনে জেল খাটে,
তস্কর ঘুরে সাধু বেশে
চলে পাশ কেটে।
লাল সাদা পাকা চুলে
ছেলে সাজে প্রবীণ,
পাকা চুলে কলব মেখে
বুড়া লোক নবীন।
নেতা নাই জনসেবায়
নিজের জন্য ব্যস্ত,
উপরি কামাই পকেট গরম
বেজায় উদার হস্ত।
সত্যের হয় যে বলিদান
মিথ্যাচারের বাহবা,
বিবেক ঘুমন্ত, চরিত্র পশুর
মারহাবা, মারহাবা!
জনগণে করছে যে কাজ
হতে পারে দরকারে,
আমরা বলি মন্দ যেটা
করছে তা সরকারে।