নিকটতমা এবং নিষিদ্ধ আলো
চোখ দিয়ে ঢুকে বুকে জ্বেলে দাও নিষিদ্ধ আলো
আমাদের ইতিহাসের জন্য সস্ভবতঃ একটি পোঁকাও উদ্গ্রীব নয়
অতএব উন্মোচিত কর তোমার সুদৃশ্য সম্পদ , হৃদয়ের জমি
চায়ের কাপ থেকে ঠোঁট টা তোমার চিবুকের কাছাকাছি নিয়ে চলে এসেছি
এক অনাস্বাদিত আদরের জন্য
একটি তন্ময় সংলাপের জন্য
রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে আরো সুরভিত আরো আলোকিত তুমি
মদির হয় আঁখি
রঙিন ঠোঁট আহ্বান জানায় যৌবনের নৈশ আয়োজনে
আকাশের তারারা নিবিড় হয়ে আরো কাছাকাছি আসে
সুস্বাদু হয় দৈনন্দিন রাতের খাবারগুলো
বিছানা থেকে উদগত হয় রকমারী ফুলের ঘ্রাণ
রাতের আধাঁরে ঝলমল করে তোমার খোলা শরীর
তোমার ভিজে চুলে গোলাপ জলের গন্ধ বিলাস
ক্ষুধিত ঠোঁট এবং ত্বক পান করে তোমার হৃদয়ের সমস্ত প্রেমানুভূতি
তোমার মাথার কাছাকাছি নেমে আসে রুপালী চাঁদ
বারংবার তোমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে চুমো খায় নিবিড় অনুরাগে
কপোলে চুম্বন দিয়ে দিনের দরজা খুলি
সকালের আলোয় স্নাত হবার আগে
প্লাবিত হই তোমার রোদে
নিজের অস্তিত্বের অর্থটা তোমার মনের আয়নায় দেখতে চাই
নিজের অস্থি ও অনুভূতি মোটামুটি মুখস্ত আমার
সুর্যমুখী অনুভবে স্নাত হবার স্বপ্ন আছে
গোলাপ শরীরের খোয়াবে পঞ্চ ইন্দ্রিয় খুলে বসে আছি
দেখা যাক তোমার বোতলে আমার কতটা আনন্দ
স্বপ্নের গ্রীবা দেখেছি বলেই কি আমার রক্তে তোমার এই প্রতিবিম্ব
অবান্ধব জীবনের অন্ধকারে তেলাপোকা
সৃস্টিহীন প্রতিতীহীন জীবনের আতংক
বুকের তোরংগে নিষিদ্ধ আগুণের দাহ
প্রিয়তমা, আমি আমরণ তোমাতে আত্মসমর্পিত
আমাকে মালঞ্চ কিংবা মাধবীতে নিয়ে যেও
প্রতিতীহীন সৃস্টিহীন পৃথিবীর নর্দমায় আমাকে ফেলে যেওনা