আমি যতবার ঘুমতে সচেষ্ট হই...ঘুমতে পারি না। একটি শংকা একটি উত্তেজনা আমাকে বিহ্বল করে। আকাংখার লালন পালন আমাকে পৌঁছিয়ে দেয় উড্ডিনের আরেক প্রান্তর। রিপুর তাড়ন একটি স্বপ্ননীল দাম্ভিক এবং অহংকার দ্বারা প্রভাবিত হই... আমি অন্ধকারে...দোযখের যাক্কুম আমাকে তাড়া করে.. আমি দিশেহারা কোন কূল খুঁজে পাই না। সহস্র হিস্যা জমা থাকে আমার বোগলদাবায়...বিশ্বাসে মরিচা...মিথ্যার বেসাতি গড়ি শিষ্টাচারের গন্ডিতে.. তবু সিংহাসন অটুট থাকুক... হত্যা ব্যাভিচার... প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ সুদ-ঘুষ নিষিদ্ধকে বিশুদ্ধ সত্যকে মিথ্যা ধোকাবাজি- সম্পর্ক ছেদন.. অতঃপর সুধা...এসকল দিয়ে প্রতিদিন গরম গরম ভোজনে নাড়ীও উত্তপ্ত টগবগ...তখনই আমি কড়া ঠান্ডা সুধা পাণ করি... অথচ বরফ ঠান্ডা নাড়ীতে জমাট বাঁধে সহসায়... সকল সূত্রের বিকাশ ঘটাই... আর্কিমিডিসের সূত্র, গণনার সূত্র, উপরে ওঠার সূত্র..প্রায়গিক রূপ খুঁজে পাই.. বল প্রয়োগের অকৃত্রিম সাহস সঞ্চার করি...রোবটের চলাচলে সকল মিথ্যাচার রেকর্ড প্রচার... দাম্ভিকতায় দাঁড়াতে পারি জনতার সামনে... বিড়ম্বিত মানুষগুলো কাতরায়--এটা স্বাভাবিক...অহংকারের পরিধি দৃশ্যত আমার জগত.. ওহ! শয়তান হাসেন... বেহেস্তে ছিলাম... গন্ধম খাওয়া অপরাধ করেছিল আদম হাওয়া.. পৃথিবীর প্রথম বসতি... হায় প্রভু! মোহ আমাকে আটকিয়ে রাখে... উচ্চাকাংখা আমি জাপ্টে ধরি.. উঠি আর উঠি... (ফেরাউনের তিনস্বপ্ন) আমাকে বিভ্রান্ত করে নীতির সফেনে... দোযখের যাক্কুম আমাকে তাড়া করে... আমি যে দৌঁড়াই হায় প্রভূ ! রক্ষা কর...বাঁচাও আমাকে দান কর শিতলতা....বেহেস্তের স্নিগ্ধ মৌসুমি বাতাস যেন শান্তির অনন্ত হোক শ্বাশত বিধান।
কবিতাটি ৫৩৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ৩১/০৩/২০১৯, ০৫:০৩ মি: