স্পর্শক বন্দনাঃ- অন্তত তোমাকে বলা যায়। গন্তব্যের টানে পৌঁছে যাবো তোমার পালঙ্কী নায়ে। মাঝ গাঙ্গে ঝাপুস ঝুপুস শব্দ ভেসে আসে। নিশ্চিহ্ন হবে না জ্যোতিঃ বিশ্ব গহ্বরে। এ আশায় বার মাস আকাঙ্খার রোদ ঢেউ ঝিকিমিকি…. রিনিঝিনি দেখি সে তোমার অলংকার।
০১. একদিন আলোর জাহাজে পৌছে যাবো তোমার কাননে। তুমি সৃজিত বাগান তৈরী করেই রেখেছো। পাতার মর্মর গানে ব্যাকুল বিভোর হবো অমৃত সূধার টান। ধন্যবাদ মাকাল গন্ধম। আজ বসে আছি বিশ্বময়ে। জাতির প্রপিতামহ পৃথিবীর সবুজের অপরূপ মোহ অনুভব করেছিল। দূরকে নৈকট্য করবার জন্যে ধনীকে গরীব এবং তার বিপরীত সূত্র …. সহনীয় নমনীয়... প্রেমের অপার টান অনুভবের আকুতি এই বিশাল বাগান।
০২. তোমার মাঠের পরে সোডিয়াম আলো জ্বেলে কত না বড়াই করি। ইউরেকা ইউরেকা বলে চিৎকার করে ফিরি পেয়ে যাই বিপন্ন জীবন। তবু সৌরালোক তুষে তেজস্ক্রিয়ায় আগুনের হাতিয়ার গড়ি। ভূলোক প্রভেদ করি অন্ধকার ধেয়ে আসে আলোর কিনারে। বাতাসের গন্ধ শুঁকে শুঁকে জাগতিক আলোক-বাতাস-পানি-মাটি-বন-পশু-পাখি সকলেরে ভালবাসি। পৃথিবীর ঠিকানাকে ভালবেসে.... গাণিতিক টানে তুমি আছ জেনে বাসা বাঁধি । পাখা থাকলে একদিন বৈমানিক হবো মাঝি পেয়ে যাবো তোমার ঠিকানা।
০৩. যে পথে বন্ধনা গাই সেই পথে তোমারই আভরণ ভেদ করে চলি। যেদিকে তাকাই আমার বলে কোন কিছু নাই। আদি অন্ত তোমারই... সুদূর দিগন্ত একাকি হাতছানি দেয়... আগমনী বার্তা বয়ে আনে। সাগরের ঢেউয়ের কোলাহলে নিরানব্বই সফেন আছড়ে পড়ে। বুকের গভীরে মিলে জিগিরের শব্দ। যদি তেমনি কান থাকে পদধ্বনি শোনা যায়। তুমিতো ঘাড়ের চেয়ে নিকটতম অসীম প্রণয়।
চৌম্বক পর্বঃ- প্রণয় বন্ধনা গাই বেসুরে গলায়। কলির কলস ভরে আছে আবর্জনা ছাঁই। কুড়িয়ে দিলাম সোনায় সোহাগা। হৃদয়ে অনল বৃষ্টি ঝরে। গভীর কোঠায় আলোকরশ্মি কেঁপে ওঠে.. ফুরায় সকল কাজ। আমায় দিয়োগো সাঁই এতটুকু ঠাঁই কুদরতি পায়ের তলায়।