মরা নদী। দূধারে বালির চর। কিছু খুটি নাড়া কুটো স্মৃতি।
কিছু বিস্মৃতির। পথগুলো স্ফটিক স্বচ্ছ নয়। ভরা কাটাতার।
তার আর শব্দ নেই। কোলাহল নেই। সুখ-দুঃখ নেই। ভালবাসাবাসি নেই।
এ যেন জাতিসত্তার অপমৃত্যু।
একদিন বেচে থাকার রসদ ছিল। ধর্মে ধর্মে কর্মে কর্মে খুব অন্তরঙ্গ।
তিতাশ পাড়ের মল্ল গোষ্ঠি। যাদের নাও- বৈঠার শব্দে ভাঙ্গতো ঘুম।
ঈদে পর্বনে মিলন মেলা বসতো পাড়ায় পাড়ায়। শান্তির ঢেকুর।
‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’। আহা কী উচ্ছল প্রেম বা সম্প্রিতি।
আজ পূর্নবার জেগে উঠবার আকুতি। স্বপ্নগুলো বজ্রাহত।
মলিন দিগন্ত। কার্পেট শয্যা আছে কী? চারিদিকে ভাঙা কাচের ফরাস।
দূরে ক্ষীণ ঝিকমিক প্রান্তর। রিফিউজি নিগার আজ শয়তানি চালে।
এখন তো হৃদয়কে বানিয়েছি পাথর। এবার সময় উঠে দাড়াবার।
আরেকটা সংগ্রামে। যা বেচে থাকার সুতীব্র চিৎকার।