পাথরের প্রাণ আছে। পাথরও জল-মাটি চেনে। ঝর্ণাবীজ পুতে রাখে
পাললিক বন। সোঁদা মাটির চিহ্নেই ভাসে প্রাচুর্যের ঘ্রাণ। পাখিরা পেখম মেলে
সবুজ চাদরে। দৃষ্টি মেলে দেয় এপাড়-ওপাড়। পাহাড় তো পৃথিবীর স্তন পিরামিড।
শিলা লতা ছেঁয়ে আছে আকাশের গায়।
অজানাকে জানা- অচেনাকে চেনা আজন্ম বিস্ময়----
চিত্তপটে পাথরের কান্না ঝরে। আগুন পুষিয়ে রাখে তামাবিল। আগুনেই
পুড়ে পুড়ে সোনা হয় খাঁটি। জাফলং তাকিয়ে দেখে রেখাপথ।
দূর পাহাড়ী ঝর্ণার ছবি আঁকি। বাণিজ্য কলায় ভাঙ্গি চাঁদ।
খটখট্---খ্টখট্--- কালের আঁধার কাঁটে প্রযুক্তি করাত।
ছন্দানন্দে পর্যটন মন নাচে। ডাহুকী নদীর বুকে দোলে স্ফটিক জল।
বিনম্র সরল গতি। আলো নিভে গেলে পড়ে থাকে কাঁচ বালি--লন্ডনী বাজার।
হরিণীরা দেখে শুধু বিস্মৃত কঙ্কাল।