আমি শাহবাগ..আমি চার রাস্তার মোহনা
দেশ বিভাগের পূর্বেই আমার একনিষ্ঠ অবস্থান;
কত না শান্ত কত যে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলে
চেয়ে চেয়ে দেখতাম হাজার অশ্ব গতির যান...
চর্তূমূখী বয়ে চলা জনতার ঢল।
আমার বুকেই ওরা বয়ে চলে যেত অবিরাম
কখনও ক্লান্ত দেখিনি
চলেছে দিনরাত যার যার মতো আবদ্ধ নিয়মের বেড়াজাল।
সেদিনগুলো সুন্দর ছিল... নন্দিত ছিল... কর্মমুখর যে ছিল
দেশের কল্যাণে নিয়োজিত ছিল জাতীয় স্বপ্রাণ।
আজ দেখে যাচ্ছি নাটকের প্রহসন;
চৌমুখি রাস্তায় জনতার বেসামাল ঢল।
এখন সে গতিময়তার প্রতিধ্বনি রাস্তায় বাজে না
এখন সেখানে যান চিহ্নগুলো ফুঁপিয়ে ওঠে না
কেবল রাতের আঁধার প্রজ্জ্বলিত হয় হাজার হাজার স্ফুলিঙ্গ মোমবাতি
জনতার আদালতে ফাঁসির মঞ্চের দড়ি ঝুলছে
আতঙ্কে দৃশ্যত দেখে কেঁপে ওঠে হাসপাতালের রোগীরা সকল
আবার পুলকে আপ্লুত হয় ... নেচে গেয়ে যখন আসর মাতে।
আমি দেখেছি স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর যারা ইসলামের সৈনিক
সুখ্যাতি অর্জনে নামী দামী সম্মানিত হন
তাদের দূর্নাম দিতে...ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রায়াস;
শহুরে ঈশ্বর হাতে তুলে নেন জনতার কন্ঠ...
শ্রদ্ধাকে অবজ্ঞা ভরে উপস্থাপন করতে নের্তৃত্ব দেন নাস্তিকবাদী
তথাকথিত নতুন প্রজন্মকে বানান হাতিয়ার।
দেখ বিশ্ববিদ্যালয়! দেখ জাতীয় যাদুঘর!
দেখ শিশু পার্ক! সরোওয়ার্দি উদ্যান!
স্মৃতিচিহ্ন ইতিহাস..... দেখে যাও
শাহবাগ রাস্তা যেন আর যান চলাচলের নয়...
যারা ক্ষমতার তক্তপোষে বসে আছে
তারা জনতাকে প্রলুব্ধ করেন... কোমলমনা শিশুদের
ছবক দেন নতুন করে পুরাণ বয়ান।
আমি শাহবাগ... আমার সমস্ত পথ অবরুদ্ধ
মহাযান চলাচল এখন যেন থমকে গেছে
যদি না এ অবরুদ্ধ পর্ব হতো এ সময়ের ধর্ষণ, গুম, হত্যা
নির্যাতন, লুটপাট, ঘুষ কেলেঙ্কারী কিংবা পদ্মা সেতু নির্মাণ
আমি মেনে নিতাম নতুন প্রজম্মের সত্যিকারের শ্লোগান।
এখন আমাকে নিয়ে নতুন কূটনীতি চলছে
হয়তো আমার বুকেই চড়ানো হবে নতুন প্রজম্ম মূর্তি
জনতারা পদবেদী তলে ফুল দিবে... জ্বালাবে মোমবাতি
তৈরি হবে পূত্তলিকতার আরেক আখ্যান।
হে প্রভু, তুমি আমার দেশকে রক্ষা কর
ইসলামের তাওহীদ সুপ্রতিষ্ঠিত কর
হিংসা-বিদ্বেষ ভুলিয়ে ভ্রাতৃ বন্ধনে আবদ্ধ কর
যার তার সম্মান যাচিয়ে চলার পথ দেখাও
এই প্রজম্মের হাতে তুলে দাও যোক্তিক আলোক ইসলামের সওগাত।