যদি খুব কালো হই, তোমার চোখে একে নিও,
দেখো কাজল হবো!
জানো, চেরা চোখে তোমায় ভূবন মোহিনী লাগে।
যদি মুখর লাগে আমাকে কখনো;
চরনে জড়িয়ে রেখো, নুপুর হবো।
হয়তো মানিয়ে যাবো।
যদি রক্তের মতো তোমার পথে ভেসে যাই;
পায়ে মাড়িয়ে নিও
আলতা হয়ে তোমায় রাঙিয়ে দেবো,-
রাঙা পায়ে অপুর্ব লাগে তোমায়,
সেটা আমার চেয়ে আর কে জানে ভালো!
যদি কখনো তোমার বিহনে আগুনে রাঙা হই,
কপালে আলতো করে ছুয়ে দিও;
আমি সিদূর হয়ে যাবো!
ছায়ার মতো তোমার অভয় হয়ে থাকবো আজীবন।
যদি কোনদিন বৈশাখের ঝড়ের মতো ;
রুদ্র, প্রলয় তান্ডব নৃত্যে মেতে উঠি,-
উদ্ধত শিবের মতো রণোন্মত্ত হই;
তুমি শুধু দুবাহুতে জড়িয়ে ধরো আমায়-
আমি বিন্ধ্যার মতো চির নত রবো তোমার জন্যে।
আমি বেশভূষাহীন ছাই ভষ্মধারি,
আমি হলাহল পানকারী, শশ্মানচারী;
আমি তোমার জন্যে জটাধারী, পারু!
যদি হটাৎ নির্বাক হই, মৌন পাহাড়ের মতো,
তুমি শুধু বর্ষার ধারা হয়ে একটু ঝরে যেও;-
আমি উচ্ছল তরঙ্গ হয়ে ছুটিবো অনিশেষ, অবিরত।
ওই বন ওই খড়ের গাদা, জোসনায় ঢাকা ইটের রাস্তা;
বাশের আবছা আধার, বুনো এক প্রেম সন্ধ্যার বাতাসে;
ভাঙা কালভার্ট, তুমুল ঝগড়া দুটি শালিখের,
তারপর ওষ্ঠে ওষ্ঠ মিলিয়ে পথ চলা পৃথিবীর পর!
তবু কেন রাতের পর রাত এত বিরহ দহন লাগে?
একটি বুকের সুবাস হৃদয়ে জেগে থাকে কী বিপুল অনুরাগে।