ষাট সহস্র বছর যদি তব নাম গাহি তয়,
রত্নাকরের মতো আমার তবে মোহ্ম লাভ হয়?
কী অসীম ভালোবাসি জানে শুধু হৃদি;
দিনরাত পথ চাহি সদা আমি কাদি।
কেন সে এমন করে গেলো মোরে ফেলে?
সাতার না জেনে আমি পড়লাম অগাধ জলে!
ব্যাথায় কাতর চিত্ত, অস্রুবারি নিষেধ না মানে,
নিশীথের ঘুমও গেছে; ক্ষুধা তৃষ্ণা বিনে।
কানেতে শুনিনে কিছু, কোথায় কে কি বলে-
উদাস ব্যাথিত সদা, চরন না চলে!
এত যে ব্যাকুল করা শুধু একটি চোখের মায়া,
একটি নদীর তৃষা জন্মের তরে ফেলে গেলো ছায়া।
একটি মানুষ এসে এই মাঝ বয়সে,
সংসার বিবাগী করে নিলো বনবাসে!
কর্মহীন প্রতিক্ষণ জানি শুয়ে বসে কাটে,
কোথায় আর পাইনে ইচ্ছা এই ভবের হাটে।
রঙিন জীবন হটাৎ হলো বিষাদ, বর্ণহীনে;
কেমনে কাটাই আমি মুহুর্ত তারে বিনে!
এত ব্যাথা, এত মায়া কোথা থেকে আসে?
চলে যাবে তবে কেনো এত ভালোবাসে?
ফিরায়ে দিতেছে বুঝি পুর্বেকার ঋণ,
দেহের অসহ্য তা, ছিহ্ন ভিন্ন মন।
নিজের বিকার দেখে নিজে হতবাক,
কখন নিশ্চুপ আমি কখনো হাকডাক।
হটাৎ ক্রোধে মাতাল, হটাৎ হটাৎ কাদি,
ক্ষণে ক্ষণে দীর্ঘশ্বাস বহে নিরবধি।
ক্ষণে ক্ষনে ফোন দেখি এলো বুঝি বার্তা,
এলোনা এলোনা আর মিটেছে যে জন্মের কথা!
তবু সে ভালো থাকুক এই যদি চায়,
ভরা থাক তার গৃহ অপুর্ব ভালবাসায়।
আমার বিরহ যত হোক ভারি, যদি না পারি বহিতে,
চলে যাবো দূর লোকে অন্য জগতে!
ভুলিতে পারিনে জানি বড় ভালোবাসি
দেখার ইচ্ছে নিয়ে তাই ফিরে আসি
এরপর আবার ফিরে এসে বর্ষার ধারা হয়ে,
হটাৎ আবার তারে নীল শাড়ীতে ধরিবো জড়ায়ে
নাই পাই তারে, তবু যেন নানা রুপে এসে,
অনন্ত জন্ম ধরে তারে যাই ভালোবেসে।