আমার পাগল প্রায় উদোম নেশা,
তৃপ্ত হয় তোমার একটি আলিঙনে!
আমার বেলাগাম চাওয়া শেষ একটি চুম্বনে-
আমার সকল তৃপ্তি পুর্ণ হয় তোমাকে পাওয়ায়!
আমার অস্থিরতা নিবৃত হয় তোমারে দেখায়,
দীঘল পথ হাটার ক্লান্তি মুহুর্তে উবে যায় ;
হালকা ছোয়ায়!
সেই পথ, আজো হেটে চলি গন্তব্যহীন দিশাহীন অক্লান্ত,
ক্ষনিক তোমারে পাই যদি, কোন এক নির্জন পথের প্রান্তে!
আমার সকল পুজা শেষ হয়,
যখন তোমার গায়ের গন্ধ মেখে শুয়ে থাকি!
সারাদিন বর্ষায় ভিজে ভিজে সন্ধ্যার এক আলো আধারিতে;-
উষ্ণতা ভাগ করি আমরা দুজন।
দুরের গেয়োপথ, ঘাট-নদী-খাল আর বিল,
একটু ছুয়ে যাওয়া, অলক্ষে বুকের ভেতর যেন নেশায় মাতাল।
বাশের গাঢ় ছায়া ঘন হয় আবছা আধারে,
করুন বিহুল বেহাগ বিতরাগ ঘন কৃষ্ণ মেঘে ঝরে।
অস্তমিত সুর্যের করুন কিরণ, ফিকে হয় সোনালী আভায়,
মাঝি ফেরে ঘরে, আলোর কিনার ধরে মেজদির খালে।
বারোয়ারী মনের ভেতর তুমি এক গভীর তৃষা,
রুপসা নদী জানে অদ্ভুত পিপাষা বুকে অতৃপ্ত চাতক;
ঘোলা জলে ঘুর্নি, বুকের ভেতর পাক দেয় অহনিশ!
জোয়ার লাগা নদী, হটাৎ বান ডাকে প্রমত্ত অধির।