অনেক নিস্তব্ধতার ভীড়ে, তোমারেই মনে পড়ে-
তবু্ও তুমি হৃদয়ের গহীনে;
জেগে থাকা এক ধ্রুবতারা-
হয়ত আকাশের নীলাভ তলে, ক্ষনিক মেঘের জমিনে;
ঢাকা পড়া আলোকোজ্জ্বল দ্যুতি!
চাঁদের সোনালি আলোর শোভা, নদীর জলের পরে-
মাঝরাতে তোমারেই যেন খুজে ফেরে বারে বারে।
আমার পৃথিবীর সব স্বাদ তোমার নদীর অতল গভীরে,
বানের জলে প্রবল ঘুর্ণি আকে অনন্ত জীবন জুড়ে।
ভয়াল দ্রোহ, দেহের উষ্ণতা বাড়ায়;
মনের ভেতর ঝড় ওঠে, জাগে প্রলয়।
হৃদয়ের সমস্ত আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়,
আমার জগৎ গোধুলির শেষ আলোয়,-
স্নাত হয়, মুছে যায় দিনের সীমানা, রাত নামে!
বেদুইন মন, ক্লান্ত হয়ে ক্রোড় খোঁজে ; বিষন্ন অচেতন-
উন্মাদ মাতাল গন্ধ ভরা দেহের উদ্যান -
তবু্ও হটাৎ বিষাদ লাগে;
অন্ধকার খুজে নিয়ে হই নিরুদ্দেশ, অনন্ত অপেক্ষায়।
ভোরের সোনালি আভায় তোমার মুখ খুজি রুপ্সার ঘাটে;
দিগন্তের সুর্য সোনালি রেখার সুত ছিড়ে ডুব দেয়-
হলুদ কুসুম রঙা আবীর ছিটায়ে।
শরীরের কোনায় কোনায় জমা সে স্পর্শ ক্ষনে ক্ষনে,
জেগে উঠে বাড়ায় পিপাষা!
বলো তবে কতকাল আর ধরে রাখি এই দুর্বোধ্য ভাষা?
হৃদয় নিঙড়ানো প্রেমে কাদাজলে খেলবার দারুণ নেশায়;
তোমার সেই চোখ আর লাল ঠোঁট আমারে বিবশ করে-
কাছে নেই জানি, তবুও তোমার শরীরে সমস্ত উষ্ণতা;
আমি পাই, রোজ রাতে ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা শরীরে;-
আছি যেন না থাকার মতো তোমার প্রতীক্ষা করে ।