হটাৎ করে তবু কেমন জানি হয়,
নিরুদ্দেশ হই কিছু কালের জন্যে নিরলিপ্ত জগতে!
তোমার স্মৃতি ক্ষনে ক্ষনে ভেসে ওঠে ;
শুন্য বুকের ভেতর বারংবার।
ফোন হাতড়ে ফিরি প্রতিক্ষন,
কল দিতে গিয়ে থেমে যাই মুহুর্তে!
কী জানি একরাশ ক্লান্তি ঘিরে ধরে পরক্ষনে-
না কোন রাগ, না কোন অভিমান;-
তোমার বুক ভরা প্রেম তবু যেন কোন এক নিরাসক্তি,
সমস্ত মুহুর্ত আমারে ঘিরে থাকে সারাক্ষন।
মনে হয় সেই কোন অনাদি থেকে,
কোন এক ক্লান্ত পথিকের দিশাহীন নিরিদ্দেশ পথচলা
কোন এক অজানায়।
তোমার তরে তৃষা রোজ বাড়ে,
দেহের সকল শিকল ছিড়ে যায়, তোমারে চায়।
তোমার বুকের ভেতর মুখ গুজে থাকি চৈতন্য হীন
অনন্ত জন্মভর!
আমি তবু খুজে ফিরি সেই সব অমুল্যধন,
যে সব পেয়েছি আমি তোমারে খুড়ে খুড়ে!
কবে আবার তোমার সাথে হাজার মাইল হাটবো,
গায়ের গন্ধ মেখে হাত ধরে ধরে।
আমি তবু অসীম পিপাসিত সে চোখের,
চুলের গন্ধ হৃদয় বিবশ করে দারুন নেশায়!
খান্ডববন দাহ হয় ইন্দপ্রস্থ নির্মাণে,
আমিও সভ্যতায় হাজার পাষান জুড়ে,
নির্মান করি ক্ষয়ে যাওয়া সে পুরাতন হৃদয় খানি!
তোমারেই জানি হৃদয়ের সে পরতে পরতে ;
জমায়েছি গভীর সযতনে।