একদিন হয়ত সোনার পঞ্চতরী বেয়ে, রুপালি নদীর
তীর ধরে ফিরে যাবো; সে সব ক্ষণ যেন অন্ধকার-
কুহক হবে! যে স্বাদ লয়ে প্রেমহীন হৃদয়ের গহীন খুজে;
মৃত্যুর মতো বর্ণহীন, গন্ধহীন প্রাণে; শুন্য বসন্ত সাজে,
পাই শুধু তারে! ছড়ায়ে সহস্র চরন, তবু সূড় ধরে হাটে।
আমার যে জগত গেছে, কোন বিষন্ন আলোহীন পাটে;
সন্ধ্যার অন্ধকার ঘন হয় সে নদীর পারে শশ্মান ঘাটে!
একটি দেবালয়ে; হৃদয়ের আহত ক্রোন্দন তাও তারে-
পারেনি থামাতে! অমাবস্যার ঘোর অন্ধকারে ঢাকা পড়ে,
চার ধার! সে এক অদ্ভুত মুহুর্ত! সমস্ত সংসার মায়া-
সমস্ত আকুতি ফেলে; গভীর নির্জন অন্ধকারে তার ছায়া,-
রেখে গেছে চলে একটি শুন্য ধানের খেত; নিয়েছে,
শিমুলের লাল দুটি ফুল, এমনি বিফল বিকেলে গেছে-
আমার সমস্ত অনুরাগ জলে। বারিহীন শুষ্ক কর্দমাক্ত নদী-
আমার পিপাষা বাড়ায়, ভাটার টান তার বহে নিরবধি!