আমি তোমার ঘ্রাণ বয়ে চলি বসন্তের উন্মাদনায়,
লাল গোলাপের পাপড়ির কোমল পরশ খুজি তোমায়!
গ্রীবায় চুম্বনের শিহরণ শরীরে আইলার ঝড় তুলুক!
রেমাল নামুক দেহের অতলে, রাস্তা ডুবুক;
দুরের অজানা গায়ে খড় ভরা কুঠিরে বর্ষা নামুক।
সন্ধ্যা হোক নির্জন রাস্তায়!
কিংবা বিকালে বসার পাড়নে হোক হৃদয় ক্ষরণ।
ক্ষরস্রোতা নদি চর পড়ে মজে যায় ক্রমে-
সভ্যতায়, সময় চর ফেলে উন্মত্ত প্রেমে;
আমিও বুঝি যেতেছি ফুরায় কালের অতলে,
রোজ তার ছায়া, আকাশের সীমানা ছুয়ে ফেলে;
ছিড়ে ফেলে আমার হৃদয়, সর্বক্ষণ -
রাস্তার ডাস্টবিনে খাবার খোজা মানুষেরও গেছে প্রমত্ত যৌবন!
গঙ্গার জলে নতুন সভ্যতার কত পাতা গেছে চলে;
হাজার প্রেম ধুয়ে মুছে সার হটাৎ ঝঞ্জায়!
তুবু প্রেম যেন; সভ্যতার সোনালি আলোর নিচে ছায়ার মতো-
সে থাকে অনন্ত; আমি শুধু সে মশাল বহি কিছুকাল-
তারপরে চলে যাই জলন্ত চিতায়।