প্রিয়,

তোমাকে চিঠি লেখার সাহস নেই, ভাষাও নেই,
তোমাকে ঠিক কি দিয়ে শুরু করবো তাও,
বুঝতে পারিনে,
লেখার দীনতা স্বীকার করছি আগেই;
হটাৎ করেই তোমার থেকে নিজেকে আড়াল করেছি বলে,
আমি ক্ষমা চাইছি।
বলতে পারো লুকিয়েছি নিজেকে!
তবে হটাৎ করে ঠিক নয়।
তবে এ ছাড়া আমার আর কি বা করার ছিল?
তোমাকে দেখলে সামলে ওঠার মতো দৃঢ়তা আমার -
কখনোই ছিল না।
আমি ক্ষয়ে ক্ষয়ে এক অদ্ভুত মানুষ বনে গিয়েছি;
আমি এক অদ্ভুত প্রেম খুজে খুজে ক্লান্ত!
আমি হয়ে উঠেছিলাম অশান্ত, দুর্বিনীত।
একটা শীতল সান্নিধ্যের খোজে আমি উন্মাদ!
তোমার চোখের শীতলতায় আমি আকন্ঠ নিমগ্ন।
তোমার প্রতি আজন্ম এক দুর্বোধ্য আকর্ষণ!
তোমাকে ভোলার সামর্থ্য বা সক্ষমতা কোনটাই আমার নেই!
এক বিগড়ে যাওয়া উদ্ধত প্রেমিকের মত তোমায় ভালোবাসি
সারাক্ষন।
আমি কয়েকটা দিন অন্তরালে এসেছি, দূরে যাইনি!
তবু আমি স্থির হতে পারিনি এক মুহুর্ত -
তোমার ঘ্রান হীনতা আমাকে করেছে তৃষিত,
আমার ভেতর এক  অসহ্য উন্মাদনা তোমাকে ঘিরে,
সাহারার মতো অনন্ত তৃষ্ণা সেখানে.

আমি রোজ অপেক্ষা করি তোমাকে একটু দেখার,
আচমকা একটু জড়িয়ে ধরার
তোমার মাথায় হাতটা বুলিয়ে দিই একবার।
ঠোঁটে একে দি আলতো চুম্বুন;
তোমার ঊষ্ণ বুকে আশ্রয়ের নিই চির বুভুক্ষু আমি।

উন্মুক্ত আমি, নিজেই উদ্ ভ্রান্ত,  ক্লান্ত-
নিজের মাঝে তাই নিজেকে রেখেছি সংযত।
এক অদ্ভুত সময়ের মুহুর্তে দাড়ায়ে,
নিজের আত্মারে প্রত্যহ করতেছি অন্বেষণ;
ভেঙে পড়া প্রাচীন নগরীর ধ্বংস স্তুপের অতলে চাপা পড়া-
পুরাতন প্রেমিকের আর্তনাদ ফিকে হয় নগরের,
খসে পড়া পলেস্তারায়।
তোমার আশায় চেয়ে থাকি পুনরায় -
জন্ম হয় এক নতুন সভ্যতা, অমরাবতী;
যেখানে তোমার বুকের গন্ধে পারিজাত ম্লান!

প্রত্যহ পুড়ি কী ভীষন রকম!
জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে,  অন্ত সলীলা ফল্গুর মতো-
তোমার পানে চেয়ে এক অনন্ত ধারা,
বহে নিরন্তর।


ইতি তোমার
পোস্টমাস্টার।