আহ কতদিন পর সন্ধ্যার অন্ধকারে;
নির্জন রাস্তার পরে!
এক অনাদি কালের তৃষ্ণার্ত হৃদয় পেয়েছে তোমারে!
হটাৎ মৃত প্রান জেগে ওঠে সঞ্জীবনী সুধা পেয়ে;
নরম দেহের স্বাদ পুর্ণিমায় জ্যোৎস্নার মতো গেছে ছুয়ে!
পাথরে খোদিত গান্ধার, কুশান, গুপ্তের নিপুন সুঢৌল স্তন ;-
ষড়ঙ্গের অদ্ভুত কারুকাজ, তোমার সর্বাঙ্গখান।
অঝর বৃষ্টির ধারায় ভিজে একাকার;
প্রণয়ের মুহূর্ত যেন পার্থিব স্বর্গ, তোমার আমার।
কেন তবু রেখে আসি এক বুক ব্যাথা বুকে;
দুরের আকাশের বিদ্যুৎ রেখা হৃদয়ে যায় একে।
সেই পুরাতন দেহের ঘ্রাণ, প্রণয়ে শিক্ত ঘ্রীবা,
কোমল আলিঙ্গন, উষ্ণতা জাগে বিপুল অনুরাগে-
বানের জলের মতো উন্মত্ত তোড়ে ভেসে যায় লাল রক্ত জবা।
ভীষণ তৃষ্ণা বুকে আগ্নেয়গিরি হয়ে জাগে।
সন্ধ্যার আধারের মতো সভ্যতাও চাপা পড়ে,
প্রণয়ের তৃষা গভীর মাটিরে তারে আর পায় না খুড়ে!
প্রেমিকের বুকের ভেতর; প্রেয়সীর ঠোঁটের লালে,-
মিশে থাকে আজন্ম অতৃপ্তি নিয়ে নীল শতদলে।