শেয়াল মশায় সাজিয়া গুজিয়া,
পরাইতে বসিলেন, বলো,
‘ক তে ক্যামেরা,
ক্যামেরা ঐ আসছে তেরে।’

এখানে নির্জনে বসিতে পারিবে না।
এখানে মুকুট পরিয়া মুকুট হারাইবার ভয়ে
দিবস-রজনী বিনিদ্র থাকিবে তুমি।
এখানে সকল লজ্জা ভুলিয়া নির্লজ্জ হইলে তবেই তুমি
স্থিত থাকিবে।
এখানে যোগ্যতার বলাৎকার হইবে মুহূর্মূহ।
মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়া,
নিন্দুকের মুখে ফুলচন্দন মাখিয়া,
দিবানিশি পূজিবে যেজন,
সেই হইবে উন্মাদের দলপতি।
এখানে তুমি তোমাকে হারাবে।
এখানে তুমি হারাই হারাই ভয়ে,
সদা অরণ্যে রোদন করিবে,
কিন্তু মূর্খের দল
করিবে তাণ্ডব।
তোমার ঠাঁই নেই গো এখানে
সুজন!
কি কর্ম, কি দক্ষতা, কি নিবেদনা,
সবেতেই ত্রুটি ধরিয়া তোমায়
করিবে পশুর বলি।

সুজন, তুমি তার যোগ্যই নও;
হবেও না কখনও।
সুজন তুমি কত সইবে আর লাঞ্ছনা,প্রবঞ্চনা?
এতেও সাধ মেটেনি তোমার?
সুজন, তুমি বানরের গলে মুক্তো পরিয়েও
কি পাবে দাতার অভিধা?

সুজন তুমি আদিবাসীর জঙ্গলে একাকী ব্রহ্মচারী,
পালাও তুমি পালাও।
ক্যানিবাল দেখেছ কখনও? অথবা রক্তপিয়াসী ভ্যাম্পায়ার?

এথায় হেথায় তুমি হারাবে তোমার স্বপ্নগুলো,
মূর্খের স্বর্গে সত্যের অপলাপ।

ওরা কইবে, ‘ক’ তে ক্যামেরা,
ক্যামেরা ঐ আসছে তেরে।
শিক্ষার অপলাপ,
শিক্ষা ভুলিবে সুজন মূর্খ বনবাসে।
সুজন পালাও তুমি সুজন,
শেয়াল পণ্ডিতের পাঠশালা ছেড়ে।
দুর্জন বিদ্বানের দুরভিসন্ধি চিড়ে।