জুঁই চামেলী শিউলি বেলী ফুটছিল বহু রঙ্গে
সু-ঘ্রাণ ছাড়ছিল আমার প্রিয় সোনার বঙ্গে,
কৃষ্ণচূড়া রক্তজবা্ রঙ্গিন শিমুল বকুল
বহমান তাজা রক্তের তুলনায় অপ্রতুল ।
রুপালী চাঁদের শুভ্র বিচ্ছুরণ তেজী সূর্যের প্রখর রৌদ্র
তীব্র বেগে প্রবাহিত ঘূর্ণিঝড়, ভাটায় গর্জে উঠা সমুদ্র
কনকনে শীত আঁধার কালরাত সূর্যমুখি গন্ধরাজ-
কুর্নীশ করে বলে, হে বঙ্গ নারী বীর রাজাধীরাজ
মনে আছে শক্তি দেহে আছে বল সাহস অবিচল
উৎসর্গ্ জীবন সবুজ ঘাসে তাজা রক্ত টলমল
হারবে না, অটুট রাখ ধৈ্র্য্-
তোমাদের বিজয় অনিবার্য্ ।
নর-নারী ছাড়ে ঘর-বাড়ি এক সাথে এক পথে সহমতে চলে
মসজিদ মন্দির গীর্জা প্যাগোডায় নিজ নিজ স্থলে দু’হাত তুলে
দিবা নিশি অজানা আতঙ্কে মুখে জাগরনের গান
উজ্জীবিত করছিল শতকোটি ঘুমন্ত বাঙ্গালীর প্রাণ
পুস্পের সুঘ্রাণ কোকিলের কুহুতান মিশে একাকার
বাংলার আকাশ বাতাস ধ্ব্নিত মা-বাবা চিৎকার
নির্লজ্জ বেহায়ার শকুনের দৃষ্টি বঙ্গ-নারীতে রার বার
নিস্তব্দ বাংলায় প্রতিটি ঘর ক্রন্দনরত ভয়ে থরথর ।
ক্ষরিত রক্ত পাজরের হাড় প্রতিক্ষায় দিন গুনছে,কবে-
খোলস পাল্টানো সেই শকুনদের সঠিক বিচার হবে ?
ভাইয়ের রক্ত বোনের ইজ্জত মায়ের মৃত্য তুচ্ছ করে
পত পত করে পতাকা উড়ায় রাজ পথ বন্ধ করে;
জিজ্ঞেস করতে বড় ইচ্ছে করে-বেহায়া আর আশ্রয়দাতা দোসরদের
স্বাধীনতার মানে কি স্বেচ্ছাচারিতা? কবে যাবে যাচ্ছেতাই তোমাদের?
শেয়ালের বুদ্ধি আর নেকড়েদের হিংস্র থাবা থেকে কবে-
বাংলার সরল মানুষগুলো সত্যিকার মুক্তির স্বাদ পাবে ?
কন্টক ছাড়া বৃক্ষ চারা ফলে ফুলে থাকবে ভরা,
রক্তে গড়া হৃদয় ভরা আমার সোনার বসুন্ধরা ।