হে ঘুমন্ত পাখি খোলো আঁখি-হও দুরন্ত, করো ডাকা ডাকি।
মেলে দাও পাখনা দু’খান, অঙ্গে তোলো শিহরণ । করো বিচরণ-পাবে কাব্যের উপকরণ;
রচনা করো কাব্য, প্রবাহিত করো সুবাতাস সর্বত্র ।
হা-হা-কার আর্তনাদ অবিরত, লুটায় ভূতলে বুলেটের আঘাতে-
মায়ের বক্ষে চুম্মুনরত নিস্পাপ শিশুরা ক্রন্ধনরত,
-বিবেক পরাহত।যদি দেখতে না পাও তবে বুঝে নেবে তোমার ও চোখ তাদেরই মতো।
হে নির্বোধ কবি, চোখের পলকে পলকে ঝলকে ঝলকে মিলবে তোমার কাব্যের উপকরণ,
যদি কবিতার উপকরণ চাও তবে এক দন্ড দাড়াও…
ঐ ফুটপাতের নিচে রেল লাইনের পাশে-টঙ ঘরটির দিকে সু নয়নে একবার তাকাও
মিলে যাবে অমিল সমীকরণ, তৈলচিত্র জলরং প্রবাহ সমীরণ।
কী নোংড়া ? নেবে না এ চিত্রকলা ? আদি থেকে আজও চলছে এ খেলা, ভিন্নতা শুধু নিচু আর উচু তলা ।
সন্ধ্যা গড়িয়ে এলে পলিথিনে মোড়ানো শতভাঁজের সালোয়ার কামিজ, অথবা ব্রান্ডের দোকান থেকে এই মাত্র কেনা
টকটকে লাল লিপইস্টিকে মোড়ানো ঠোঁট, পাউডারে ধবধবে মুখায়োব, স্যান্ডেল বা হাই-হীল
পরিপাটি কেশে গলির মোড়ে পার্কে ওভার ব্রীজের নিচে বা প্রাইভেট কারে একা বা দলে।
ভিড়বে দামি গাড়ি, রঙ্গিন গ্লাসে আধো ফাঁকে একপলক দেখা ।
ইশারা ডাকে, পৌঁছে যায় মুখোশ পড়া সেই ভদ্রবেশীদের রংমহলে।
রাত যতই গড়াবে কাব্যিক ভাব ততোই জমে উঠবে।
শরীরের সব রস দিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে আঁকে নোংরা ক্যানভাসে
লোলুপ্ত কামনা বাসনায় রয় বিভোর, নিয়মিত পরিণত হয় অভ্যাসে।
চৈতন্য ফিরে আসে চলে যায় নিজ নিজ নীড়ে
ছুড়ে ফেলে দেয় আঁকা আঁকির সব রং তাকায় না ফিরে।
হে নির্বোধ কবি! এখনো ওদের চিনলে না ?
ওদের ব্যাপারে বলা বারণ ?
-কারণ, দিবালোকে ওরা ভিন্নরুপী দেবতা, মহা-মানব
বসবাস রেল লাইনের পাশে বা উপর তলায় ।
মুর্খ্য কবি এক দন্ড দাড়াও! কবিতার প্রচ্ছদ নিয়ে যাও
তোমার কাব্যিক মনে ঢেউ খেলে দিবে
এসে যাবে শিল্পের ছোয়া;
সাবধান!! থলের বিড়ালটি যদি বেড় হয়ে মেও মেও আওয়াজ করে ভয় সেখানেই,
লেবাস আর খোলস সরে গেলে আঁধারের রুপটি উন্মচিত হয়ে যাবে
শোভিত সভার শিরোমণিদের আসল আভায়,বিপত্তি সেথায়।
যদি না বুঝ কবিতার ছন্দ খেলা,না বুঝ তারই বিষাদ জালা, তবে কিভাবে ভাসাবে কাব্যের ভেলা ?