পৃথিবীর শেষ কবি ও কবিতা
জহিরুল ইসলাম
জনসমুদ্রের উদ্যানে ছুটে চলতে চলতে একদিন পৌঁছে যাব-
পৌঁছে যাবো জনশূন্য বিরানভূমির প্রান্ত পথের কিনারায়!
সবুজ ঘাসের বুকে প্রজাপতি হয়ে ঘুমিয়ে যাবো-
ঘুমিয়ে যাবো চিরতরে এক প্রাচীন শুয়ো পোকার মতো।
পৃথিবীর বুকে আমার জন্য হোক সাড়ে তিন হাত মাটির কফিন,
যেখানে একদিন কঙ্কাল হবো নিশ্চিহ্ন এক টুকরো অস্তিত্ব।
এই পথ কত পথিক হেঁটেছে বহুবার বহু যুগ ধরে মৃত্যুর পথযাত্রী হয়ে,
আরো কত অজানা পথিক হবে এই পথের সঙ্গী কত পদচিহ্ন এঁকে যাবে তারা।
মহাকালের এই গর্ভে অগণিত নক্ষত্র হয়ে গেছে কত তাজা প্রাণ,
আহ পৃথিবী আর কত শোক সইতে হবে তোমার কে জানে?
কে জানে আর কত ইতিহাসের সাক্ষী হবে এই নশ্বর পৃথিবী!
কি হবে এই ইতিহাসের পাতা ভরাট করে মৃত কঙ্কালের হাড়ে?
বেঁচে থাকার প্রয়াস যাদের তারাও একদিন হয়ে যাবে ইতিহাসের চিহ্ন,
পৃথিবীর শেষ কবিতা লেখার জন্য কে জন্মাবে ধরায়?
কার কলমের খোঁচায় শেষ হবে কবিতার শেষ পংক্তিমালা;
কি নাম হবে সেই কবিতার নাকি নামহীন রয়ে যাবে শেষ কবিতা?
পৃথিবীর শেষ কবিতা কোন পাঠক থাকবে না হয়তো
আবৃত্তি করবার জন্য থাকবে না;
কোন বাচিকশিল্পী থাকবে না কোন প্রচ্ছদ অথবা ছাপাখানা।