নীল আকাশের মাঝে হঠাৎ,
সাদা মেঘের ঝুড়ি,
কাশবনের ওই গাছের মাথায়,
বসেছে এক বুড়ি।
পাকনা মাথার চুল যে তাহার,
দেখায় ভীষণ ভালো,
বুড়ি তোর মাথায় কেন আজি
এত শুভ্র আলো??
আউলা কেশে মৃদু মাথা নেচে,
বলল কাশের বুড়ি,
ওমা বলছ কি? জানোনা বুঝি,
শরৎ এলো যে ফিরি।।
বর্ষাকাল নিলো বিদায় তবুও,
হয়নি বিদায় বৃষ্টি,
নদী খাল বিল হাওরে জলে,
ভরা যৌবন দৃষ্টি।
শীতের আমেজ লাগছে গায়ে,
শিশির ঝরে প্রভাতে,
সারা রাতি লাগে ভীষণ গরম,
ঠান্ডা শেষ রাতে।
দিনের লাগে গরম রাতে শীত,
শরতের এই কালে,
মাঠে মাঠে হরেক ফসল বোনা,
সজ্জিত সবুজ পালে।
এক পশলা বৃষ্টি শেষে ফের,
উঠে ভীষণ রোদ,
ঘরে বাইরে আহা কি তাপ,
অসহ্যকর বোধ।
এরই মাঝে শারদীয় সাজে,
সজ্জিত প্রকৃতি,
সব ঋতুর রাজা বসন্ত হলে
রাণী হবে শরতি।
শরত বন্ধনায় মেতেছে কবি,
লিখেছে কত ছড়া,
কবি অসীমও তাই লিখেছে,
শরতের চেহারা।
শ্রীপুর/নেত্রকোণা।
০৩/১০/২০২০।।