প্রিয়জনের মুখের হাসি দেখবে বলে
অনিশ্চয়তা জেনেও পথে নেমেছিলো যে যুবক, গন্তব্যে যেতে;
আচমকা বাতাসে ভেসে আসা বোমার আঘাতে
ক্ষত-বিক্ষত শরীরটা এলিয়ে দিয়েছিলো তপ্ত রাজপথে।
ভীষণ ইচ্ছে ছিলো সবার আগে মাকে গিয়ে বলবে-
‘আমি চাকরি পেয়েছি মা। তোমার আর কষ্ট থাকবে না!’
ঝাপসা চোখে জ্ঞান হারাবার আগে-
তারই মতো আরেক যুবককে ছুটে যেতে দেখেছিলো বিপরীতে।
তারপর-
হাসপাতালের বিছানায়, শরীরের অনেকটা অংশে
গণতন্ত্রের সাদা ব্যান্ডেজ জড়ানো।
তারপর দু’পক্ষের রশি টানাটানি।
কখনও বালিশ বদলের মতো অন্যের ঘারে দোষ চাপানো।
অবশেষে, তথাকথিত গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করার আগেই
পরাজিত যুবকের পরপারে যাত্রা।