তুমি প্রত্যেক দুঃসাহসী নব-যাত্রীর
আসমান-জমিন, বিশ্ব-বিধাত্রীর!
তুমি সত্যের সাহসী ঝাণ্ডা-ধারী,
অন্যায়-রোদে ঝরে পড়া ন্যায়-বারি।
তুমি বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা
মানবতার কাণ্ডার, নবযুগের স্রষ্টা।
তুমি বিন্দু-জলে এনেছ মহাপ্রলয়
সিন্ধু-ভরা বাণীতে হয়েছ অক্ষয়!
তুমি জালিমের সম্মুখে সিংহ-গর্জন
শোষকের বিরুদ্ধে ন্যায়নিষ্ঠ তর্জন!
তুমি শিকল ছেঁড়া সৈনিক—
বেড়ি পরেও ঢেলেছ ঘৃণা-ধিক!
তুমি ভীতু মনের অনুপ্রেরণা
স্বৈরীর পরাজয় বরণের তাড়না।
তুমি সেই বিভীষিকাময় ঝংকার
পাপীতাপীর হৃদয় কাঁপানো হুংকার!
তুমি ভালবাসার নিখুঁত কারিগর,
বিরহ-সুঁতায় বেঁধেছ প্রেম-সুঁতার ঘর।
তুমি তাজমহলের চাকচিক্য তাজ,
পরিহিত শাড়ির আঁকা-বাঁকা ভাঁজ।
তুমি আমরণ, আমৃত্যু, জন্মজন্মান্তর
রবে সত্য ও ন্যায়ে— কাল-কালান্তর!
তুমি মুজাহিদ, কালজয়ী বীর,
ন্যায়-দ্রোহীর জম, সত্যান্বেষীর উঁচু-শির।
তুমি সকল মানবের হিয়া-স্পন্দন,
দরিদ্রের বিসর্জিত বুকফাটা ক্রন্দন।
তুমি ন্যায়-তরীর সুদক্ষ মাঝি—
শুভ জন্মদিন, অবিনশ্বর কাজী!