কবিতা-- গন্তব্য হীন
শহরের সব সৌন্দর্য চুরি হয়ে যাবার পর,
একটা বিষণ্ণ সন্ধ্যায়
ভূতের গলি ধরে আমি হাটছি, ভাবছি--
মানুষগুলো কেমন বদলে গেছে,
শহরে আজ সোডিয়াম আলোর রাজ্যত্ব নেই,
পার্কের নির্জনতায় নেই স্বচ্ছ প্রেমের বিলাপ,
ঢাবি'র ক্যান্টিন গুলোতে গর্জে উঠে না
আগামী প্রজন্মের নেতার কন্ঠস্বর।
এখন সন্ধ্যা নামলেই প্রেমিকেরা ডাকাত হয়ে যায়,
লুটপাট হয়ে যায় প্রেমিকার সর্বস্ব।
ভাবছি, হাটছি।
ধ্যানী সন্তুর মত ; আমার কোন গন্তব্য নেই।
অথচ কোন এক সময়ে ছবির হাটের সব
আড্ডা শেষে যখন বাড়ির গন্তব্য নিয়ে ফিরে আসতাম --
তখন প্রিয়জনের নিবিড় নৈকট্য মনে পড়ে যেতো, চোখের আরশিতে ভেসে উঠতো ভালোবাসার অবয়ব।
আমি আজও সেই পুরোনো রাস্তা ধরেই ফিরে আসি।
কেবল আমার হাত থেকে মুছে গেছে ভাগ্য রেখা।
বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতির ছায়াপথ ধরে গন্তব্যহীন যাত্রা আমার।
উফফ্ কি অসহায় যন্ত্রণা।
আত্মহত্যা সংক্রান্ত বিলবোর্ড লিখতে গিয়ে আমি চিরকুট লিখে ফেলি --
আমি কবিতার মত শব্দশূন্য হয়ে পড়েছি,
আমার স্বপ্নের মাঝে হেমন্তের ঘ্রাণ নেই,
ঠোঁটের কোনে বেজে ওঠে মৃত পরিবর্তনের সাইরেন।
কোন বিপ্লব নেই, কোন বিপ্লব নেই।
জানি আমার ফুরিয়ে যাওয়ায় কারও দায়ভার নেই,
এ শহরের মৃত্যুতে কারো দায়ভার নেই।
S.I ZITU