দৃষ্টি পড়ে যখনি,তুমি বদলেছো প্রতিনিয়ত,
এক নতুনত্ব।
কোনটা যে তোমার আসল সৌন্দর্য
কোন রুপে আছে সত্য।
কখনো গহীন অরন্যে শানকি হাতে জল
দিচ্চ বৃক্ষের পুষ্পের গাত্রে।
কখনো যান্ত্রীক থেকে হস্ত নড়ছে,
কাউকে নামিয়ে স্কুলে।
কখনো দাঁড়িয়ে শির নত করে,
ছাড়াচ্চো গোটানো শাড়ি।
কখনো দর্পনে খুটিয়ে দেখছো,
শুভ্র দাঁত,গোলাপি ঠোঁট।
কখনো কেদারায় বসে,
বিলি কাটছো জটিল রুক্ষ চুলে।
কখনো বাথটাবে গোড়ালী ঘষচ,
সংগীত গেয়ে দুলে দুলে।
কখনো রুপচর্চা সিদুঁরের সাথে রঙ্গে
সাজাও দুই ঠোট।
কখনো চিরকুট লিখতে মহীয়ান,
খেয়ে যাও চিন্তার হোছট।
কখনো গোছাও মনিবদ্ব বাঁধা,
শাখা,পলা,নোয়ায়।
কখনো হস্তে নিয়ে গল্পের পুস্তক,
মানশিকতা নেই সেটা পড়াই।
কখনো কপাটে উদাসী মুখ,
চোখে মেলে আদিগন্ত দৃষ্টি।
গহীন রাত্রিতে নির্ভাসীতা তুমি,
আদিম আদমের সৃষ্টি।
বারি,নীর,পুষ্প,গাড়ী,কুন্তল,স্কুল,
চিকুর বাথটাব শাড়ী।
সিদুঁর,দর্পন,মাড়ি,চিরকুট,
কবিতায় চিন্তার পাড়ি।
মনিবদ্ব পালা,শাখা নোয়া,
এক এক তোমার কোয়া,
মিলনাত্বের শখ মিটায় না,
তোমার হাজারো গাত্র ছোয়ায়।
খরিদ করব লেন্স,তুলব মানব চিত্র,
এ কথা ভাবতে ভাবতে,
অন্তরীক্ষে চলে গেল চিরতরে মহূর্ত,
অচির সময়ে ঘূর্ণি আবর্তে।
জানা ছিল না অন্তর নয়নের,
আদি পিনহোল ক্যামেরা।
তুলেছো চিত্র,সোনালী একই,
নিয়ে তার বিবর্তমান চেহারা।
তাতে তোলা চিত্র একটাই,
কিন্তু যখনি তাতে লোচন পড়ে
হৃদয়ের মধ্যে কপাট খোলে আমার
কল্পনাকারী দুই আঁখি।
সে কল্পনারাজ্যে উজ্জীবিত তুমি,
খসিয়ে লজ্জার নির্মোক।
খুলেছো কলরাজ্য,মেলেছো ডানা
জ্ঞানশূন্য মুগ্ধ চোখে।
দেখতে দেখতে দেখি বদলায়
সেই চিত্রটি নীতি-নৃত্য,
সে সবেতে আছে নানান রুপ
সব রুপই লাগে চির সত্য।