তোমাকে বলবো,
আন্দোলন ও মিছিলে
যদি যেতে চাও, তাহলে যাও,
তবে সেটা যেন গণতন্ত্র
ও ভালোবাসার জন্যে হয়,
অবশ্যই খুন খারাবি, ধ্বংস
ও বোমাবাজির আন্দোলন নয়।
জানো! কিছুদিন পরেই,
সবুজ শ্যামল মায়ার
বাঁধন ছেড়ে আসা,
নতুন এই পৃথিবীতে এসেছিল
নিদারুণ শীতকাল।
পত্রহরিৎ অরণ্য
হারিয়েছিল ফুল, বর্ণালি পাতা
আর তার কিছু কিছু প্রিয় ডাল।
উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা
পাহাড় ও পাহাড়ী পথ,
খাল, বিল, নদ,
মল, বাড়ি, ঘর,
কেঁপে কেঁপে করেছিল
কেবলই থরথর।
মনে হচ্ছিল,
বরফাচ্ছন্ন বিরাট এই দেশ,
হয়তো হয়ে যাবে অচিরেই নিঃশেষ।
আরও মনে হচ্ছিল,
এই দেশ, এই ভূমি,
পেরুচ্ছে এক সংগ্রামী,
যুদ্ধকালীন সহায়হীন ভয়,
আর ভয়ার্ত কঠিন অসময়।
এখানে নেই কোন মিত্র,
ছিল যেন শুধু
ধবল বরফের যুদ্ধক্ষেত্র।
তারপরে কি জানো!
শীতের কাতরতা,
আস্তে আস্তে কেটে গেলো,
আর বসন্ত শুরু হলো।
শীতের চাদরে ঢাকা
ও এদিক সেদিক লুকিয়ে থাকা
পাখিরা বসন্তে ফিরে এলো,
আর পাখিদের গানে গানে,
চেরি, বেরি, টিউলিপ
ফুল ফোটা শুরু হলো।
বসন্তের আমেজে প্রকৃতি
ও প্রকৃতির অতিথি,
সকলে প্রাণ ফিরে পেলো,
আর এর পর পরই
গ্রীষ্ম (সামার) এসে গেলো।
এখন, এখানে
দারুণ গ্রীষ্মকাল,
পাড়ায় পাড়ায় আনন্দ-উৎসব
ও গান-বাজনার তাল,
আর পার্ক, মাঠ, ঘাট
সবুজ সজীবতা পেয়েছে,
বাগানের গাছে ধরেছে
রকমারি ফুল ও ফল।
তাছাড়া,
পাড়া বেড়ানো
ও নিদারুণ শীতে ঘর হারানো
ভ্রমর ও পাখিরা,
ফুলে ফুলে, দুলে দুলে
হচ্ছে যেন আনন্দে মাতোয়ারা।
নিজের কথা কি বলবো?
বুজোইতো!
তোমার মতই বিনিদ্র আঁখি,
হাসিখুশি সকলের মাঝে,
একা হলে চুপচাপ থাকি,
হৃদয়ের ভালবাসা, হৃদয়ের মাঝেই
তোমার জন্যে যতন করে রাখি,
আর সারাদিন সারাবেলা,
মনের মাধুরী মিশিয়ে
ভাবনায় তোমাকে দেখি।
তাই শীতে,
কন কনে শীত
তেমনটা গায়ে লাগেনা,
বসন্ত ও গ্রীষ্মের আমেজ
তেমনটা মনে বাজে না,
এমনকি নতুন দেশের নতুনত্বের
মোহ ও তেমন প্রাণে জাগে না।
মনে হয় বারবার,
থেকেও যেন নেই আমি,
এখানে, এই বরাবর,
আর আগের মতোই আবার,
নিবিড় সান্নিধ্যে তোমার,
ফিরে যেতে চায়, এ হৃদয়,
এ প্রাণ, এ মন
প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।
=======@zh=======