স্বপ্নচারিণী মা যেদিন
করেছিল ছেলেকে গর্ভে ধারণ,
মেনেছিল সহস্র বারণ,
সহ্য করেছিল অসহ্য জ্বালাতন।

সেই দিন থেকে প্রতিদিন,
শুনে শুনে কষ্টের বীণ,
গুনেছিল দশ মাস দশ দিন।

তারপরে দ্যুতিময় কোন এক ভোরে,
মায়ের প্রাণ ও মন উঠেছিল ভরে,
এসেছিল তাঁর কোল জুড়ে,
কলিজার টুকরো হীরে,
এ ছিল, এক শুভক্ষণ,
হয়েছিল মায়ের স্বপ্নপূরণ।

স্বপ্নদর্শিনী মা সুখী হল,
সব ভুলেছিল, ভেবেছিল
কষ্ট ও কষ্টের দিন তাঁর,
থাকবেনা আগের মত আর।

সুখের সেই শুভক্ষণে,
হয়তো তাঁর পড়েনি মনে -
ছেলের জন্যে তাঁর,
থাকবে জীবনভর হাহাকার।

হয়তো বুঝতে চায়নি মা,
ছেলের জন্যে তাঁর
বুকচাপা কষ্ট ও ভাবনা,
জনম জনমেও ফুরাবেনা।

মায়ের চোখে
সুখের অশ্রুবান,
বুকে জড়িয়ে রেখে,
আর পলকে পলকে দেখে
সদ্য প্রসূত আদুরে সন্তান।

জল ভরা মায়ের চোখে,
চেয়ে থাকে ছেলের দিকে,
আর মোহিত হয়ে
সে সোনালি স্বপ্ন দেখে -
ছেলে বড় হয়ে
মানুষের মত মানুষ হবে,
হেলে পড়া সংসারের হাল ধরে
বাবাকে কিছুটা মুক্তি দিবে।

মা স্বপ্ন দেখে,
অপরূপা এক এ্যান্জেলিকা
ঘরে এসে ভালোবেসে,
ঘর সাজাবে,
মায়ের নিত্য দিনের সাথী হবে,
আর আপন মায়ের মতই
মাকে আপন করে নিবে।

মা স্বপ্ন দেখে,
ছেলের বড় সংসার হবে,
আর সেই সংসারের
স্বর্গ সুখ দেখে
মা চিরতরে,
স্বর্গের পথে পা বাড়াবে।
=======@zh======