লেখকঃ মোঃ জহিরুল হোসাইন খান নাসিম।
তোর আকাশ ছোঁয়া বিস্তৃত ঐ মনের মাঝে, ইচ্ছে করে
ঘুরে বেড়াই একটুখানি ছোঁয়া নিতে, সকাল বিকাল সাঁঝে,
বিবেকের সাথে সন্ধি করি, যদি তোকে ছুঁতে পারি
আসবো ফিরে আবার নিজের কাজে।
শুনছি আমি অনেক কথা, লুকিয়ে রাখিস নিজের ব্যথা
সবকিছুকেই আড়াল করে, হাসতে থাকিস প্রাণ খোলে
কেমন করে পারিস্ তুই? বুকের কষ্ট বুকে পোঁষে?
আনন্দ দিস্ ব্যথাতুরে, গানের পরে গান গেয়ে, ঝড় জাগানো সুর তোলে?
কখনো বা আছিস্ তুই, ছায়া হয়ে আমার পাশে
হৃদয় তখন উৎফুল্ল, ডানা মেলে উড়তে থাকে আকাশ পানে
তুই যখন আড়ালে থাকিস্, বিষন্নতায় বুকটা তখন পোড়ে
তখন খুউব কষ্ট হয়, কোন কাজেই বসে না মন, তোকেই শুধু টানে।
সৃষ্টি, তুই রূপে গুণে সুন্দরী, তোর ভ্রুযুগল আর কালো লম্বা কেশ
পরিপাটি গোছালো যেমন থাকে পরিবেশ,
তুই ই পারিস্ এমন করে যেথা খুশি সেথা ঘুরে
ভালোবাসার নাটাই ধরে, ঘুড়িটাকেও জয় করতে পারিস্ কিন্তু বেশ!
তুই তো অনেক কিছুই পারিস্, লিখতে পারিস্
নাঁচতে পারিস্, বিশাল ষ্টেজে উপস্থাপনা, সে বিদ্যায়ও পারদর্শী,
বিনা মূল্যে শ্রম দিস্, টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার, মেরামত সব করতে পারিস্
এমন গুণে মুগ্ধ তোর পাড়া প্রতিবেশী।
তোকে কেমন করে ভুলি? সততায় পূর্ণ যার মনটা আছে ভরি
তুই আমার হরিণী কস্তুরী, তোকে বিনা হয়না আমার একটিও চরণ লিখা
চোখ মুদিলেও তোকে দেখি, যখন থাকি একা
তুই আমার, সত্যিই আমার দুরূহ পথের পথ চলার, জ্বলন্ত এক শিখা।