ওরা আজ পথের মেয়ে, সেই পরিচয়ে উঠছে বেড়ে
শহরের ফুটপাতে কিংবা কোন উদ্যানে,
ওরা নানান রঙে নিজেকে রাঙে
ছুটে এখানে ওখানে পুরুষের মনোরঞ্জনে।
ওদের প্রতিটি দিন কাটে দুঃস্বপ্নের ঘোরে
নিশিতে ওরা সহচর হয় বিত্তবানের বাহুডোরে,
অনাহুত কিছু অর্থ খাটায় প্রভুত্ব
বিবেকের কষাঘাতে যদিও অন্তর, হয় ভষ্ম পুড়ে পুড়ে।
ওদেরও শ্রেনী আছে কিছু বিলাস ভূষণে
উচ্চাশায় রূপ, যৌবন নারীত্ব হারায়,
আবার কেহ বা বখাটে সন্ত্রাসীর লালসার শিকার হয়ে
সমাজের অবিচার ও ব্যভিচারে, ওরা আজ পথে পথেই ঘুরে বেড়ায়।
ক্রমে ক্রমে জন্ম নেয়, নিষ্পাপ কত শত আত্মা
নেই কোন পরিচর্যা, অনাদরে উঠছে বেড়ে,
কলি প্রস্ফুটিত না হতেই, ওরা কাতরায় বিষের ছোবলে
অথচ একদিন বিষকেই ওরা করে গ্রাস, দু'বেলা খেতে পেটপুড়ে।
ওরা সমাজের কীট, বলে বিশারদবিদ
ওদের পরশে কত শত যুবক কলিতেই ঝরে,
অথচ সবাই বলে, ওদের অাশ্রয় দাও নিরাপদ ছায়াতলে
দু'একজন ব্যতীত, সবাই পরাভূত, তবুও না সমাজের টনক নড়ে।
ওরা ঘৃণিত আজ, সমাজ বঞ্চিত
ওদেরও কারো ছিল বাবা-মা,ভাই-বোন বা কোন আশ্রয় ঘর,
যেখানে উঠেছিল বেড়ে, স্নেহ, আদরে শাসনে
স্মৃতির ভেলায় চড়ে, আজও কাঁদে অন্তর।
ওদের এ পরিণতির জন্য দায়ী কে?
বাবা- মা না দুষ্ট চক্রের জালে আবদ্ধ সমাজ?
যাদের প্রশ্রয়ে সন্ত্রাস বাড়ে, শাসক হয়েও শোষন করে
যারা সমাজের তাজ,প্রভুত্ব খাটাতে প্রচন্ড যাঁদের ঝাঁঝ?
কে গড়বে এ সব পথের মেয়েও শিশুদের একটি সহানুভূতির ঘর?
যার প্রশ্রয়ে নির্লোভ হবে সে সব মনোহরী,
তিন বেলা পেটপুড়ে পাবে খেতে, যারা ভাগ্য দোষে, আছে বিষের গ্রাসে
অত্যাচারিত শোষিত, নিষ্পেষিত ধর্ষিতা এ সব সম্বল হীনা পথের অপ্সরী।