লেখকঃ মোঃ জহিরুল হোসাইন। খান নাছিম।
ওগো অভিমানী মেঘ, তুমি ঘোমটা পড়ে মুখটি ফিরে
আকাশকে কেন বন্দী করে, কাঁদছো আজ তুমি ?
ক্ষেপেছে সূর্য্যি মামা, বিষন্নতায় কাঁটছে সময়
কোন ঈর্ষায় হয়েছো আজ, এমন বদনামী ?
তুমি তো ছিলেনা এমন !
অকারনে রাগ হতেনা , সবার সুখের সঙ্গী ছিলে ,
আজকে তুমি কার ঈশারায়
এতোটাই বদলে গেলে ?
তোমার তৈরি বাগানটায় , ছিল যারা
ওরা সব বিষন্নতায় ভীষন মর্মাহত,
সেই বাগানে ফুটছে না ফুল, ছুটছে না আর প্রজাপতি
জাগছেনা আর সূর্য্যি মামা, হৃদয় তাদের ক্ষত।
তোমার মনে যন্ত্রণা কী ? বলতে যদি সবায়
একটু হলেও হাল্কা হতে,
ফুলপরী আর প্রজাপতি বুঝতে পেরে, অভিমানের সুরটা ছেড়ে
তোমার কষ্ট ওরাই কিন্তু নিতো বুকটা পেতে ।
ওগো অভিমানী মেঘ, তোমার ঘোমটা খোলে যন্ত্রণাকে মুক্ত করো
সূর্য্যি মামাও আসুক ঘরে,
দেখবে তোমার সেই বাগানে ফুলকলি আর প্রজাপতি আসছে ছুটে
নানান রূপে নানান বেশে, তখন তোমার লাগবে খুশি, দেখে মনটা যাবে ভরে।
ওগো অভিমানী মেঘ, তুমি সব ভুলে যাও
শত্রুতার দেয়াল ভেঙ্গে, ভালোবাসায় জয় করে নাও,
শত্রু মিত্র সবাইকে, বুকের ভিতর আগলে রেখে
বিস্তৃত এই ভূমন্ডলে, হৃদয় তোমার উচ্ছাসে নৃত্য করতে দাও।