" মা "

লেখকঃ মোঃ জহিরুল হোসাইন খান নাছিম।

জন্মদাত্রী মা আমার ত্যাগ করেছেন কুল
ছেলে হয়ে চাইছি ক্ষমা, মা এর যত ভুল,
আল্লাহ্‌ তুমি ক্ষমা করো, কবরের আজাব দূর করো
সেই কবরটি করো তুমি, বেহেশত অনুকূল।

মা আমায় জন্ম দিলেন,  সুখেদুঃখের সাথী ছিলেন
মাতৃ দুগ্ধ পান করিয়ে, বলিষ্টতায় ফিরিয়ে দিলেন
কেউ বুঝে না কেউ জানে না মায়ের যে কী হয় যন্ত্রণা
সারা জনম দুঃখ নিয়ে শুধু ভালই বাসিলেন।

জন্মদাত্রী মা আমার স্বপ্নের যাদুকর
ভালোবাসা দিয়ে আমায় শিক্ষায় দিলেন বর,
সে শিক্ষাতেই শিখতে হলো, এ পৃথিবীর আঁধার আলো
মা ছিলেন সুখে দুঃখের জীবন সহচর।

জন্মভূমি মা আমার বুকে দিয়ে ঠাই
স্বর্ণলতার মতো আমায় রাখিেলন বাঁচায়,
খাদ্য দ্রব্য সবই পাচ্ছি স্রষ্টার মহাত্বতায়
জীবন যুদ্ধে চলছি যদিও, তপ্ত তাপের তীব্রতায়।

সব জেনেও কেন যে সব,  মাকে করি বস্ত্রহীন
আমরা কেমন তর মানুষ ওহে চলি বিবেক বিহীন,
সবুজ বুকে রক্ত ঝরায়, মায়ের মুখে কালি মাখায়
করি জীবনটাই সঙিন।

ওমা তোমায় খুউব ভালোবাসি, করো না তাই মন তল্লাশি
হয়তো তখন দেখবে চোখে, বলছি যা ঠোটে মুখে
সব কিছুতেই ভন্ডামি আর নষ্টামি, তখন খুব কষ্ট পাবে
করবে ঘৃণা সব সন্তানে করছো লালন যাদের বুকে।

ছেলে মেয়ের ভালোবাসা সকল মায়ের অন্তরে
সেবা কর্ম দিয়ে সন্তান পৌঁছে মায়ের গভীরে,
রহমত তার বর্ষে সদা মায়ের দোয়ার উপরে
সেই সন্তান নই আমি মা, মিথ্যে বলি কেমন করে?

মাগো, তুমি হলে সন্তানদের স্বর্গ সুখের দ্বার
আমি তোমার অনুপযুক্ত, সেই ছেলে নচ্ছার
অসুখে অর্থ লাগে, তার সাথে যত্ন লাগে
সেদিন আমি পারিনি মা করি সেবা তোমার।

এবার কিন্তু সত্যিই মা,  আমি তোমার  উপযুক্ত ছেলে
দু'রাকাত নামাজ পড়ে, তোমার কষ্টের নাজাত চেয়ে  নিত্য আমি প্রর্থনাতে বলছি তারে
সুখ স্বর্গের বাগিচাটা, দাও না আমার মায়ের কবরে।