চারদিকে শুনি বিজয়ের প্রতিধ্বনি
সে ছিল ঊনিশত একাত্তর এর ষোলই ডিসেম্বরের কাহিনী
নয় মাসের যুদ্ধের পর, এ দিনেই হয়েছিল অবরুদ্ধ
নৃশংস, নিষ্ঠুর ছিল যত পাক সেনা বাহিনী।
বাংলার কত বুদ্ধিজীবী হত্যা করে, করেছিল অস্তমিত রবি
ভেবেছিল বাংলা আর বাঙালীর বুকে, দেবেনা প্রজ্বলিত হতে,
এমনি এক প্রত্যয়ে রাজনীতির বলয়ে, ওরা কিন্তু হয়নি কৃতকার্য
নিজেদের কর্মে নিজেরাই হয়েছে ধ্বংস, প্রতিটি মুহুর্তে।
ত্রিশ লক্ষ প্রাণ করেছে আত্ম বলিদান
মা-বোনের সম্ভ্রম, করেছে লুণ্ঠন, দুই লক্ষাধিক,
হায়ানার দল, খাঁটায় শক্তি বল তবুও হয়নি সফল
সারা বিশ্বের মানুষ ওদের পরিণতিতে দিয়েছে ধিক্।
প্রশ্ন আমার, লক্ষ লক্ষ প্রাণ আর ধর্ষিতার বিনিময়ে
কি এনেছি বাংলার মানুষের ধ্যানে, প্রাণে, মনে?
স্বার্থ ত্যাগী যারা, ওরা হয়েছে সর্বস্তরে সর্বহারা
স্বার্থন্বেষী মহল, থাকে অবিচল, গুম,খুন, ধর্ষণ করছে ক্ষণে ক্ষণে।
ওরা কারা? ওরাও বাংলাদেশী, মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ
অন্তরে নয়, অনেকেই মুখে মুখে বলে জয় বাংলার জয়,
অথচ স্বীয় স্বার্থ আহরণে, কত মানুষ মারছে কারণে অকারণে
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিকতারই হচ্ছে ক্ষয়।
ডিসেম্বর এলেই আমাদের মুখোশ বদলায়, চলি ভিন্ন পন্থায়
কেউ কেউ বিজয়ের পতাকা গায়েতে জড়ায়, কী বুঝাতে চায়?
বোধজ্ঞানে আমি নিরুপায়, ওরা উদ্বুদ্ধ মুক্তি যুদ্ধের চেতনায়?
এমন কপটতা কী বাংলা ও বাঙ্গালীদের মানায়?
আসুন মুক্তির চেতনা হৃদয়ে ধারণ করি, সৎ পথে চলি,
হইনা যেন পথভ্রষ্ট, রাখি বিজয়ের ধারা অব্যাহত,
অবিশ্বাস, হিংসা আর কপট রাজনীতির বলয়ে
আমরা করবোনা অন্যায়ের কাছে কখনোই মাথা নত।