থাকে কিছু আকাঙ্খা
শব্দহীন বোধগুলো কফিনের ভেতর আটকে আছে বহুকাল, বলার অপেক্ষা ছিল,বলা হয়নি, মৃত্তিকার অনেক গভীরে।
আমার বা আমাদের নিঃশব্দ ইচ্ছে অনিচ্ছুক এক পান্ডুলিপি হয়ে ধূসর বর্ণ ধারণ করেছে হয়তোবা।
তরুণ কবির কবিতার মতো ভীষণ গর্বিত একটি পান্ডুলিপি
লিখতে বসে কতকাল পার করেছি সকাল বিকেল সন্ধ্যা।
ভালোবাসার প্রেমের অভিমানের একটা একটা শব্দ গ্রথিত করেছিলাম, কবিতার মতো ছোট গল্পের মতো প্রতিবাদে লিখিত শ্লোগানের মতো।
প্রকৃতি থেকে প্রাণ ভরে নিয়েছিলাম কত কি
রবির আলোয়,বৃষ্টির জলে,কুয়াশার শিশির কণায় আমি খুঁজে পেয়েছি স্পন্দন শিখেছি জীবনের অর্থ।
নদী, আকাশ, মাটি থেকে পেয়েছিলাম স্পর্ধা একটি অনবদ্য রচনার।
আমরা শুধু নিছক চরিত্র হয়ে পান্ডুলিপিতে পুতুল মানুষ হয়ে থাকি,
আমাদের অর্থহীন সংলাপগুলো নিজেরাই শুনি,অনুভব করিনা।
আমাদের নিশ্চুপ অনুভূতি একেকটা দৃশ্যকাব্য যার অন্তরালে
ক্লান্তিকর পরিবর্তন এবং নির্লিপ্ততা নিয়ে জীবনের কাব্যগ্রন্থ।
একদিন একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবে সবাই,
প্রেম সহমর্মিতা এবং ভালোবাসার জন্য মিছিলে শামিল হতে আহবান জানাবে কেউ অথবা আমি বা আমরা,
বরফশীতল কফিনের ভেতর আটকে থাকা বোধ গুলো রঙিন পাখা মেলে উড়ে যাবে খোলা আকাশে।
আমরা মূক ও বধির হয়ে নয়,
কলরব মুখর হয়ে জীবনে সত্যিকার জীবন যাপন করবোই,
আমাদের অনুভবের জানালায় খোলা বাতাস বয়ে যাবে কোন একদিন,
শব্দহীন পান্ডুলিপিটি ধূসরতার আবরণ ফেলে দিয়ে
বর্ণময় কোলাহলে পরিপূর্ণ হবে...
এমন করেই জন্ম হয় আকাঙ্খার ও স্বপ্নের।
আকাঙ্খা গুলো এমন করেই রয়ে যায় বা রয়ে যাবে চিরন্তন।